মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও অ্যালেস্টার কুক। ছবি:সংগৃহীত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিসিসিআই-এর শীর্ষ পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে অনুরাগ ঠাকুরকে। সঙ্গে সরতে হয়েছে সচিব অজয় শিরকেকেও। এই অবস্থায় আসন্ন ভারত-ইংল্যান্ড ওয়ান ডে ও টি২০ সিরিজ নিয়ে সংশয়ে বোর্ড। যাদের সই করার ক্ষমতা ছিল তাঁরা কেউ নেই। কী ভাবে হবে সিরিজ সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন এটাই। সম্প্রতি শেষ হওয়া টেস্ট সিরিজও প্রায় বন্ধ হতে বসেছিল। কারণ লোঢা কমিটি জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সংস্থাগুলোকে কোনও টাকা দিতে পারবেন না বিসিসিআই। এর পর অবশ্য টেস্ট সিরিজের জন্য রাজ্য সংস্থাগুলোকে টাকা দেওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। যদিও তার পরিমান বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এ বার অবশ্য অন্য সমস্যার সামনে বোর্ড। এই মুহূর্তে বোর্ডের দায়িত্বে নেই কেউ। বিসিসিআই-এর এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘আমরা সবাই সংশয়ে। ম্যাচ আয়োজন করবে রাজ্য সংস্থা। কিন্তু এই মুহূর্তে জানি না দায়িত্বে কে।’’
আরও খবর: বোর্ডের মাথায় সৌরভকে চান গাওস্কর
১০ ও ১২ জানুয়ারি মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া এ-র বিরুদ্ধে দুটো অনুশীলন ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। প্রখম ওডিআই ১৫ জানুয়ারি পুণেতে। দু’সপ্তাহ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে সেই ম্যাচের টিকিট। তার পর মধ্যেই এই সঙ্কটে সমস্যায় বিসিসিআই। অতীতে বোর্ড সব সময়ই ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। কিন্তু লোঢা প্যানেল কখনওই তেমন কিছু করার পক্ষে ছিল না যেটা ক্রিকেট খেলাকে আক্রান্ত করবে। ‘‘সব ঠিক ঠাকই চলছিল। কিন্তু সামনে যে খেলা রয়েছে তাতে দুই সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তাই নেই। মুম্বইয়ের শরদ পওয়ার ও পুণের অজয় শিরকে। সমস্যায় রাজ্য সংস্থাগুলো। অনেকেই তাঁদের সাইনিং অথরিটি হারিয়েছেন। একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করতে যেটা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। এখন আমাদের পুরোটাই নতুন করে সাজাতে হবে। এর পর দেখা যাক কী হয়,’’ বলেন বিসিসিআই কর্তা। বাকি দুটো একদিনের ম্যাচ হবে কটক ও কলকাতায়। তিনটি টি২০ হবে কানপুরস নাগপুর ও বেঙ্গালুরুতে।