Sachin Tendulkar

হাওয়া থেকে সাবধান, বলছেন সচিন

মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে এক সাক্ষাৎকারে সচিন বলেছেন, ‘‘ইদানীং দেখা যাচ্ছে নিউজ়িল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে প্রচুর রান উঠছে। ওখানকার পিচের চরিত্র বদলে গিয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:০১
Share:

পরামর্শ: ওয়েলিংটনের হাওয়া সামলানোর মন্ত্র সচিনের। ফাইল চিত্র

সেই ১৯৯০ সাল থেকে শুরু করে পাঁচ বার নিউজ়িল্যান্ড সফরে গিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর। শেষ বার গিয়েছিলেন ২০০৯ সালে। যে অভিজ্ঞতা থেকে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মনে করেন, নিউজ়িল্যান্ডের পিচের চরিত্র এখন অনেক বদলে গিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সংবাদ সংস্থাকে এক সাক্ষাৎকারে সচিন বলেছেন, ‘‘ইদানীং দেখা যাচ্ছে নিউজ়িল্যান্ডের মাটিতে টেস্টে প্রচুর রান উঠছে। ওখানকার পিচের চরিত্র বদলে গিয়েছে।’’ মঙ্গলবারই অকল্যান্ড পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় দল। এ বারের সফরে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি, তিনটি ওয়ান ডে এবং দুটি টেস্ট খেলবে বিরাট কোহালির দল। প্রথম টি-টোয়েন্টি ২৪ জানুয়ারি।

নিউজ়িল্যান্ডের মাটিতে সবুজ উইকেটে খেলা থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে টেস্ট সিরিজ জয়, সব কিছুরই সাক্ষী থেকেছেন সচিন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মনে আছে ২০০৯ সালে নিউজ়িল্যান্ড সফরে দেখেছিলাম হ্যামিল্টনের পিচ বাকি কেন্দ্রগুলোর চেয়ে আলাদা। অন্য জায়গার পিচ শক্ত হয়ে গেলেও ওখানকার পিচ নরমই ছিল। পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেপিয়ারের পিচও শক্ত হয়ে যায়। ২০ বছর ধরে নিউজ়িল্যান্ড সফরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছি, ওদের পিচগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শক্ত হয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

এই সফরে নিউজ়িল্যান্ডকে সমস্যায় ফেলার মতো বোলিং ভারতের আছে বলে মনে করেন সচিন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের বোলিং আক্রমণ খুব ভাল। যে রকম পেসার আছে, সে রকমই স্পিনার। আমার মনে হয় নিউজ়িল্যান্ডের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার রসদ আমাদের আছে।’’

তবে একটা ব্যাপারে কোহালিদের সতর্ক করে দিতে চান সচিন। ওয়েলিংটনের হাওয়া। সেখানে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে সচিন বলছেন, ‘‘ওয়েলিংটনে খেলেছি বলে জানি ওখানকার হাওয়া কতটা প্রভাব ফেলে খেলার উপরে। বোলাররা হাওয়ার উল্টো দিকে বল করছে না হাওয়ার সঙ্গে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। ব্যাটসম্যানদেরও বুঝে নিতে হয় কোন প্রান্ত থেকে বোলারকে আক্রমণ করবে।’’

তা হলে কী পরিকল্পনা করা উচিত ভারতের? সচিনের পরামর্শ, ‘‘জোরালো হাওয়ার বিরুদ্ধে বল করতে গেলে কিন্তু পেসারদের খুব মাথা খাটাতে হবে। তাই আমার মতে, স্পিনারদের হাওয়ার বিরুদ্ধে বল করতে আনা হোক আর পেসাররা উল্টো দিক থেকে আসুক। যাতে জোরালো হাওয়া কোনও সমস্যা করতে না পারে।’’ ওয়েলিংটনে একটি টি-টোয়েন্টি এবং একটি টেস্ট খেলতে হবে ভারতকে।

সচিন এ-ও মনে করেন, সাদা বলে খেলার অভিজ্ঞতা রোহিত শর্মাকে লাল বলের ক্রিকেটে অনেক সাহায্য করবে। সচিনের কথায়, ‘‘চ্যালেঞ্জটা হল, যে কোনও পরিবেশ-পরিস্থিতিতে ওপেন করা। যত দূর জানি, সাদা বলের ক্রিকেটে নিউজ়িল্যান্ডে ওপেন করেছে রোহিত। বেশ কয়েক বার ওখানে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ওর। তাই নিউজ়িল্যান্ডের পরিবেশ সম্পর্কে রোহিতের পরিষ্কার ধারণা আছে। তবে টেস্ট ক্রিকেট হল টেস্ট ক্রিকেট।’’

পাশাপাশি সচিন আরও মনে করছেন, সব কিছুই নির্ভর করবে কোন পিচে খেলতে হবে ভারতকে। ‘‘এখন দেখতে হবে কোন ধরনের পিচ নিউজ়িল্যান্ড তৈরি করে ভারতের জন্য। যদি সবুজ উইকেট হয়, তা হলে চ্যালেঞ্জটা শক্ত হবে,’’ বলছেন এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। এই সফরে চোটের জন্য দলে নেই ভুবনেশ্বর কুমার, দীপক চাহারের মতো পেসাররা। সচিন অবশ্য উদ্বিগ্ন নন। তিনি বলেছেন, ‘‘চোট-আঘাত খেলারই অঙ্গ। যখন কেউ দেশের হয়ে নামে, তখন নিজের সেরাটা দেয়। আর নিজেকে উজাড় করে দিতে গেলে চোট-আঘাত লাগতেই পারে। এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন