লাল-হলুদ জার্সি গায়ে এ বার আই লিগ জয়ের চ্যালেঞ্জ বেলোর

বেলো রজ্জাকের স্বপ্নের কথা কি কারও জানা আছে? একটা অদ্ভূত স্বপ্ন মনের কোণে লুকিয়ে রেখেছেন বেলো। বিভিন্ন ক্লাবের জার্সি গায়ে আই লিগ জয়ের। মোহনবাগানের জার্সি গায়ে ইতিমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এ বার ইস্টবেঙ্গলের পালা। শনিবার তাঁকে ফোনে ধরা হলে নিজের স্বপ্নের কথাই শোনালেন বেলো। ‘‘ইস্টবেঙ্গলও তো আই লিগ পায়নি। এ বার লাল-হলুদ জার্সিতে আই লিগ জিততে চাই। স্বপ্ন দেখি, ভারতের বিভিন্ন ক্লাবের জার্সি গায়ে আই লিগ জেতার। জানি না এই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না!’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০১৫ ০২:৩১
Share:

বড়িশা নাবালিয়াপাড়া ইউনাইটেড ক্লাবের খুটি পুজোতে ইস্টবেঙ্গল কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ও মহমেডান কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার। -নিজস্ব চিত্র

বেলো রজ্জাকের স্বপ্নের কথা কি কারও জানা আছে?
একটা অদ্ভূত স্বপ্ন মনের কোণে লুকিয়ে রেখেছেন বেলো। বিভিন্ন ক্লাবের জার্সি গায়ে আই লিগ জয়ের। মোহনবাগানের জার্সি গায়ে ইতিমধ্যেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এ বার ইস্টবেঙ্গলের পালা। শনিবার তাঁকে ফোনে ধরা হলে নিজের স্বপ্নের কথাই শোনালেন বেলো। ‘‘ইস্টবেঙ্গলও তো আই লিগ পায়নি। এ বার লাল-হলুদ জার্সিতে আই লিগ জিততে চাই। স্বপ্ন দেখি, ভারতের বিভিন্ন ক্লাবের জার্সি গায়ে আই লিগ জেতার। জানি না এই স্বপ্ন পূরণ হবে কি না!’’
আই লিগের অভিজ্ঞ এই নাইজিরিয়ান স্টপারের বয়স এখন ৩৪। নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই তাঁর। তবে হার মানার কথা ভাবতে পারেন না বেলো। বরং বলছিলেন, ‘‘আমি এত ভাবি না। শুধু জানি ভাল খেলে যেতে হবে। নিজের সেরাটা দিতে হবে। বাকিটা ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিয়েছি। তিন-চারটি ক্লাবের হয়ে জিতলেও তো ভাল কিছুটা ইচ্ছে পূরণ হবে।’’ ভারতে খেলা বিদেশি ডিফেন্ডারদের মধ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ধারাবাহিক ফুটবলার বেলো। তাঁর সবচেয়ে বড় গুণ যে কোনও ক্লাবে, যে কোনও পরিস্থিতিতে চট করে মানিয়ে নিতে পারেন। মুখের হাসিটা লেগে থাকে সব সময়। তাঁর চনমনে ভাব বাকি ফুটবলারদেরও মোটিভেট করে। বেলোর এক সময়ের সতীর্থ লালকমল ভৌমিক বলছিলেন, ‘‘পুরো দলকে তাতিয়ে রাখার অদ্ভূত একটা গুণ আছে বেলোর।’’
মোহনবাগান ছাড়ার জন্য কি কোনও দুঃখ আছে? প্রশ্ন শেষ করার আগেই উত্তর দিতে শুরু করলেন লাল-হলুদের নাইজিরিয়ান স্টপার, ‘‘দুঃখ কীসের? পেশাদার ফুটবলারদের কাছে এ শব্দগুলোর কোনও মানে নেই। যে ক্লাবেই যাব নিজের সেরাটা দেব। আর মোহনবাগান এখন অতীত। ওদের বিরুদ্ধে আমি এ বার খেলতে নামব।’’ ডার্বি জেতাটা এ বার আপনার কাছে নিশ্চয়ই বড় চ্যালেঞ্জ? ‘‘যে টিমের জার্সিতেই ডার্বি খেলি না কেন, জিততে পারলে সব সময় তৃপ্ত লাগে। এই ম্যাচের রোমাঞ্চই আলাদা।’’

Advertisement

মোহনবাগানের জার্সি গায়ে আই লিগের শেষ ম্যাচে গোল করছিলেন। আবার লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই গোল। ডিফেন্ডার থেকে স্ট্রাইকার হয়ে উঠছেন দেখছি ধীরে ধীরে? ‘‘র‌্যান্টিকে এ বার চাপে ফেলে দেব এত গোল করব।’’ বলেই হেসে ওঠেন বেলো। পরে হাসি থামিয়ে বলেন, ‘‘স্ট্রাইকার হওয়ার কোনও ইচ্ছে আমার নেই। তবে গোল পেলে সবার মতো আমারও ভাল লাগে। সুযোগ চলে আসলে গোলও করে ফেলি।’’

বিএনআরের বিরুদ্ধে ছ’গোলে জয় পাওয়ার পর ইস্টবেঙ্গল আবার ফুরফুরে মেজাজে। তবে আর্মি একাদশ ম্যাচের আগে ফুটবলারদের আত্মতুষ্টি ভাবাচ্ছে লাল-হলুদ কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে। এ দিন স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় বিশ্বজিৎ বলছিলেন, ‘‘বড় জয় আসলে ফুটবলারদের মধ্যে আত্মতুষ্টি চলে আসে। সে জায়গাটা কাটানোর চেষ্টা করছি। পরের ম্যাচ আর্মি একাদশের বিরুদ্ধে। ওরা শক্তিশালী টিম। খুব ভাল খেলছে ওরা। সতর্ক না থাকলেই সমস্যায় পড়তে হবে।’’

Advertisement

লাল-হলুদ ফুটবলাররা এ দিন পুরোটাই ছুটির মেজাজে ছিলেন। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান করেই কাটালেন মহম্মদ রফিক, সৌমিক দে, মেহতাব হোসেনরা। জ্বর হয়েছে বলে বিএনআর ম্যাচে ১৮ জনের টিমেই ছিলেন না র‌্যান্টি। আর্মি ম্যাচের আগে তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন বিশ্বজিৎ। তবে মেহতাব এব‌ং অর্ণব মণ্ডলকে আরও একটু না দেখে টিমে রাখার কথা ভাবছেন না লাল-হলুদ কোচ। বিশ্বজিৎ বললেন, ‘‘জয়ের ধারা ধরে রাখতে হবে। এত সংক্ষিপ্ত লিগ যে এখানে অনেক ওঠা নামা হবে। তবে আমাদের ফোকাস হারালে চলবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন