Cricket

ঈশ্বরনের ডাবল সেঞ্চুরি, তবু ড্র করে ছিটকে গেল বাংলা

প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার কারণে শুভমান গিল, যুবরাজ সিংহরা এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে গেলেন। অন্যদিকে, মনোজদের ঝুলিতে এল মাত্রই এক পয়েন্ট। প্রথম ইনিংসে ২৬০ রানে পিছিয়ে থাকার পর বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে বিশাল রান তুলল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:২৪
Share:

অভিমন্যু ঈশ্বরনের দ্বিশতরান কাজে এল না। ফাইল ছবি।

রঞ্জি ট্রফিতে এবারের মতো অভিযান শেষ বাংলার। বৃহস্পতিবার সল্টলেকর যাদবপুর ক্যাম্পাসে ড্র হয়ে গেল বাংলা বনাম পঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ রঞ্জি ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার কারণে শুভমান গিল, যুবরাজ সিংহরা এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে গেলেন। অন্যদিকে, মনোজদের ঝুলিতে এল মাত্রই এক পয়েন্ট। প্রথম ইনিংসে ২৬০ রানে পিছিয়ে থাকার পর বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে বিশাল রান তুলল। বৃহস্পতিবার খেলার শেষদিনে ৬ উইকেটে ৪৩২ রান তুলে ইনিংসের দান ছেড়ে দেন মনোজরা। যার ফলে পঞ্জাবের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮ ওভারে ১৭৩ রানের।

Advertisement

পঞ্জাব ১৫ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৩২ রান তোলার পর যবনিকা পড়ে যায় এই ম্যাচে। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে মনদীপ সিংহরা বেশ দ্রুতগতিতেই রান তুলতে থাকেন। যদিও মাত্র ৩৮ রানের মধ্যে পঞ্জাব টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান আনমোলপ্রীত সিংহ (৬), শুভমান গিল (৮) ও যুবরাজ সিংহকে (১২) ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠিয়ে বাংলা অভাবনীয় জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিল।

কিন্তু চতুর্থ উইকেটে মনপ্রীত সিংহ গ্রেওয়াল (২৮ বলে ৫৮) ও অধিনায়ক মনদীপ সিংহ (২৩ বলে ৩৫) ৮৪ রান যোগ করার পর পঞ্জাবের ফাঁড়া কেটে যায়। অশোক দিন্দা, মুকেশ কুমার ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক একটি করে উইকেট নিলেও প্রচুর রান দিলেন। চালিয়ে খেলতে গিয়েই পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা পরের পর আউট হয়েছেন। আসলে পঞ্জাবও সরাসরি জয়ের জন্য মরিয়া ছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘নেতা’ ধোনির উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ! সওয়াল করলেন রোহিত

আরও পড়ুন: দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি নেবেন কোহালিরা

নকআউটে যেতে জিততেই হত মনোজ তিওয়ারির দলকে। কিন্তু প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং বিপর্যয়ই বাংলার কাল হল। যার ফলে এ বারও রঞ্জি ট্রফির নক-আউট পর্বে যাওয়া হল না।

বুধবার তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসের দুই উইকেটে ২১৮ তুলেছিল বাংলা। ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন দুরন্ত ফর্মে থাকা ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরন। অধিনায়ক মনোজ খেলছিলেন ৯০ রানে। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বাংলা অধিনায়ক বৃহস্পতিবার সকালে শতরান পূর্ণ করেন। কিন্তু তারপরই তিনি ফেরেন। ১০৫ রানে বিনয় চৌধুরির বলে ফিরে যান বাংলার ক্যাপ্টেন। তৃতীয় উইকেটে ২২২ রান যোগ করলেন মনোজ-ঈশ্বরন।

অন্যদিকে, ঈশ্বরনকে রোখা যাচ্ছিল না। এরপর ব্যাট হাতে নিজেকে যেন আরও মেলে ধরলেন তিনি। আগের ম্যাচে রান পাওয়া অনুষ্টুপ মজুমদার (৯) এদিন রান না পেলেও ঈশ্বরনকে যোগ্য সহায়তা করলেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় (১১৪ বলে ৪৮)। দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৮৬ রান যোগ করলেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে শ্রীবত্স গোস্বামীও (৫০ বলে ৩২) ঈশ্বরনের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৬ রান যোগ করলেন।

গত ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে বাংলার দুর্ধর্ষ জয়ের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন ঈশ্বরন। অল্পের জন্য দ্বিশতরান পাননি। লক্ষীবারে পঞ্জাব বোলারদের আক্রমণকে ধুলিসাত্ করে বঙ্গ ওপেনার করলেন ডাবল সেঞ্চুরি। অপরাজিত ২০১ রানের ঝলমলে ইনিংসের পথে ৩৭৩ বল খেললেন ঈশ্বরন। ম্যারাথন ইনিংসকে সাজালেন ১৬ বাউন্ডারি দিয়ে। তবে এমন অসাধারণ ইনিংসও কাজে এল না। বঙ্গ ক্রিকেটে এই মরসুমের এটাও এক বড়সড় ট্র্যাজেডিই বটে!

(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement