ঝাড়খণ্ডকে উড়িয়ে লড়াইয়ে থাকল বাংলা

জাতীয় টি-টোয়েন্টির অন্যতম শক্তি হিসেবে যে দলকে দেখা হচ্ছিল। সেই ঝাড়খণ্ডকে অনায়াসে হারাল বাংলা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৯ ০৩:০৭
Share:

দুরন্ত: ৫০ বলে অপরাজিত ৮৬ রান শ্রীবৎস গোস্বামীর। ফাইল চিত্র

জাতীয় টি-টোয়েন্টির অন্যতম শক্তি হিসেবে যে দলকে দেখা হচ্ছিল। সেই ঝাড়খণ্ডকে অনায়াসে হারাল বাংলা। রবিবার ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি সুপার লিগের ম্যাচে সৌরভ তিওয়ারিদের আট উইকেটে হারাল মনোজ তিওয়ারির দল। সাত ওভার বাকি থাকতে ম্যাচ শেষ করে দিলেন বাংলার ব্যাটসম্যানেরা। ফের শ্রীবৎস গোস্বামীর ঝোড়ো ইনিংস জেতাল বাংলাকে। ৫০ বলে তিনি অপরাজিত ৮৬ রানে। ১২টি চার ও একটি ছয় মেরে এই ইনিংস গড়েন তিনি। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যে নেট রান রেটে (০.৮৫) উন্নতি হল বাংলার।

Advertisement

শনিবার মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়ার দিনই বাংলার কোচ অরুণ লাল ড্রেসিংরুমে বলে দিয়েছিলেন, ‘‘একেবারে নির্ভীক ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের। বিপক্ষের শক্তি নিয়ে ভাবলে চলবে না। নিজেদের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।’’ রবিবার বাংলার খেলায় একটি ব্যাপার স্পষ্ট ছিল। ছেলেদের আত্মবিশ্বাস। টস জিতে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠান অধিনায়ক মনোজ। শুরু থেকেই বিপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করেন তরুণ পেসার আকাশ দীপ। ২৪ রানে দুই উইকেট নেন তিনি। অলরাউন্ডার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় দলে ফিরে একটি অসাধারণ স্পেল উপহার দেন। চার ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট। ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট শাহবাজ আহমেদের। ২০ ওভারে ঝাড়খণ্ডকে আটকে দেয় ১২৬-৯ স্কোরে।

জবাবে ১৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান তুলে দেয় বাংলা। টানা দুই ম্যাচে শূন্য করার পরে এ দিন ১৬ বলে ২৪ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। বাংলার ব্যাটিংয়ের চেয়েও সব চেয়ে বেশি নজর কেড়েছে দলের ফিল্ডিং। ঝাড়খণ্ডের উইকেটকিপার মহম্মদ নাজ়িমকে একক প্রয়াসে ফেরালেন মনোজ। কভার অঞ্চলে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে তাঁর ক্যাচ তুলে নেন বঙ্গ অধিনায়ক। যা দেখে মুগ্ধ দলের প্রত্যেকে। কোচ অরুণ তো বলেই দিলেন, ‘‘হয়তো প্রতিযোগিতার সেরা ক্যাচ নিল মনোজ। অসাধারণ। দলকে সামনে থেকে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। জেতানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে ও।’’

Advertisement

ম্যাচ জিতে মনোজ অবশ্য বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেননি। তাঁর কথায়, ‘‘নেট রান রেটে আমাদের উন্নতি প্রয়োজন ছিল। সেটা হয়েছে। এ বার মহারাষ্ট্রকে এক ম্যাচ হারতে হবে। আর আমাদের গুজরাতকে হারাতে হবে। তা হলে ফাইনালের রাস্তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি আগেও বলেছিলাম ছেলেদের মধ্যে প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু ঠিক জায়গায় তা প্রয়োগ করতে হবে। আজ সেটা ওরা করে দেখিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন