জাতীয় গেমসে লন বলে পদকজয়ী খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিওএ সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরি (সামনের সারিতে বাঁ দিক থেকে তৃতীয়) এবং সচিব অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় (সামনের সারিতে বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়)। — নিজস্ব চিত্র।
সদ্যসমাপ্ত জাতীয় গেমসে ভাল সাফল্য পেয়েছে বাংলা। ১৬টি সোনা-সহ মোট ৪৭টি পদক নিয়ে শেষ করেছে অষ্টম স্থানে। জাতীয় গেমসে এটাই বাংলার সবচেয়ে ভাল ফল। এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এ বার রাজ্যেই জাতীয় গেমস আয়োজনের চেষ্টা শুরু করছে বাংলার অলিম্পিক্স সংস্থা (বিওএ)। সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরি এ ব্যাপারে কথাও বলেছেন ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার (আইওএ) সভাপতি পিটি ঊষার সঙ্গে।
জাতীয় গেমসের জন্য দেহরাদূন গিয়েছিলেন চন্দন এবং বিওএ-র অন্য কর্তারা। সেখানেই ঊষার সঙ্গে কথা হয়। ঊষা খুবই উৎসাহী হয়ে বাংলাকে ‘বিড’ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে এখনও ‘বিড’ করেনি বাংলা। চন্দন জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে ইতিবাচক মনোভাব পেলেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘বিড’ করবেন তাঁরা।
পরের বছর জাতীয় গেমস হবে না। ২০২৭ সালের জাতীয় গেমস আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে মেঘালয়। বাংলা চাইছে ২০২৯ সালের জাতীয় গেমস আয়োজন করতে। ১৯৮৫ সাল থেকে আধুনিক জাতীয় গেমস শুরু হওয়ার পর থেকে এক বারও এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করেনি বাংলা। এ বার তাই জোরকদমে ঝাঁপানো হতে পারে।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে চন্দন বলেন, “সবে দু’মাস হল দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে অভূতপূর্ব সহযোগিতা পেয়েছি। এ বার জাতীয় গেমস আয়োজন নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলব। তবে জাতীয় গেমস আয়োজন সহজ কাজ নয়। বিভিন্ন স্তরে ‘লবি’ করতে হয়। বিভিন্ন রাজ্যকে পাশে পেতে হয়। আশা করি সুযোগ পেলে সেই কাজও করতে পারব।”
এ বার বাংলাকে এক-চতুর্থাংশ পদক এনে দিয়েছে জিমন্যাস্টিক্স। পাঁচটি সোনা-সহ ১২টি পদক জিতেছেন জিমন্যাস্টরা। তবে বাংলায় এখনও কোনও জিমন্যাস্টিক্স অ্যাকাডেমি নেই। চন্দন জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের গেমস আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা একটা ধারণা পেয়েছেন। বাংলায় উন্নতমানের জিমন্যাস্টিক্স অ্যাকাডেমি গড়ে তোলার ব্যাপারে জোরকদমে চেষ্টা করা হবে।
এ দিকে, মার্চের শেষের দিকে নেতাজী সুভাষ রাজ্য গেমস আয়োজন করতে চাইছে বিওএ। মূলত মালদায় এ বারের প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে। পরিকাঠামো পর্যালোচনা করতে ইতিমধ্যেই কিছু কর্তা মালদায় চলে গিয়েছেন।