অশোক দিন্দার নেতৃত্বে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নেমে জিতল বাংলা। নাটকীয় ভাবে, দু’রানে। জয়ের স্বস্তির মধ্যে আবার থাকল অস্বস্তির কাঁটাও— প্রজ্ঞান ওঝার চোট।
নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট সংস্থার মাঠে হিমাচলপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে বাংলা তোলে ১৫৪-৬। ভিতটা গড়ে দেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৩৯ বলে ৪২) এবং প্রমোদ চাণ্ডিলা (৩৯ বলে ৭০)। এর পরেও অবশ্য জয়ের খুব কাছে চলে এসেছিল হিমাচল। শেষ ২৫ বলে তাদের দরকার ছিল ২৭। শেষ বারো বলে লক্ষ্য নেমে দাঁড়িয়েছিল ১৭-এ।
টি-টোয়েন্টিতে অসম্ভব নয়। কিন্তু হিমাচলের জয় রুখে দিলেন অশোক দিন্দা। চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া মনোজ তিওয়ারির জায়গায় নেতৃত্ব দিতে নামা দিন্দা ১৯ নম্বর ওভার বল করেন। দেন মাত্র ২ রান। শেষ ওভারে পেসার অলোকপ্রতাপ সিংহ ১৭ দিলেও বাংলার জয় আটকায়নি। চার ওভারে উইকেট না পেলেও মাত্র আট রান দেন দিন্দা।
‘‘ক্যাপ্টেন্সির বাড়তি চাপ আমার উপর ছিল না। বরাবর টিমের হয়ে যে দায়িত্বটা নিতাম, আজও নিয়েছি। নামের পাশে শুধু সরকারি ভাবে ক্যাপ্টেন শব্দটা লেখা ছিল,’’ বলেছেন দিন্দা। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘নিজের শেষ দুটো ওভার করতে যাওয়ার সময় ঋদ্ধিমান বলেছিল, ছয়ের বেশি দিবি না। আমি পাঁচ দিয়েছি। এ রকম অবস্থায় সব সময় আমার সেরাটা বেরোয়। তা ছাড়া শেষ ওভারটা অলোক করবে, আগে থেকে ঠিক ছিল। আমি মার খেলে ওর উপর চাপটা বেড়ে যেত।’’
এ দিন আবার ক্যাচ ধরতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে কাঁধে চোট পান প্রজ্ঞান। তাঁর এমআরআই, এক্স-রে হয়েছে। ফ্র্যাকচার পাওয়া না গেলেও কনকাশন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, পরের ম্যাচ খেললেও খেলতে পারেন। যে হেতু মাঝে একটা দিন বিশ্রাম পাচ্ছে টিম। আপাতত আইস ট্রিটমেন্ট চলবে প্রজ্ঞানের। সইদ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বাংলার পরের ম্যাচ বুধবার, ৬ জানুয়ারি। প্রতিপক্ষ গুজরাত।