বোলারদের দাপটে সহজ জয় বাংলার

গত মরসুমে এই কেরলের কাছেই নয় উইকেটে হারতে হয়েছিল বাংলাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৮
Share:

উচ্ছ্বাস: কেরলকে হারিয়ে ছয় পয়েন্ট তুলে বাংলার ক্রিকেটাররা। টুইটার

দুরন্ত জয় দিয়ে রঞ্জি মরসুম শুরু হল বাংলার। কেরলের মতো শক্তিশালী দলকে তিন দিনের মধ্যে হারিয়ে ছ’পয়েন্ট ঘরে তুলে নিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরনরা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার তিরুঅনন্তপুরমে বাংলা প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩০৭ রানে। ৬৭ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে কেরলের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১১৫ রানে। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৪৮ রান দু’উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় বাংলা। বাংলার বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন দুই স্পিনার অর্ণব নন্দী এবং শাহবাজ আহমেদ। এ ছাড়া অশোক ডিন্ডা দু’টি এবং মুকেশ কুমার ও ঈশান পোড়েল একটি করে উইকেট পেয়েছেন।

গত মরসুমে এই কেরলের কাছেই নয় উইকেটে হারতে হয়েছিল বাংলাকে। এ বার আট উইকেটে জিতে পাল্টা জবাব দিল তারা। দলের অধিনায়ক ঈশ্বরণ বলেছেন, ‘‘প্রথম ইনিংসের ভাল রানে এগিয়ে যেতে পেরেছিলাম আমরা। যেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই সময় ব্যাট করা খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল।’’ একই সঙ্গে বোলারদের প্রশংসাও করেছেন অধিনায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের স্পিনাররা খুব ভাল বল করেছে। ওদের ফাস্ট বোলাররা আমাদের সমস্যায় ফেলতে পারেনি। কিন্তু আমাদের ফাস্ট বোলাররা এই পিচে ভাল বল করেছে।’’

Advertisement

মুস্তাক আলি ট্রফিতে ভাল খেলতে পারেনি বাংলা। যে কারণে একটা চাপ তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে দলের এই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন খুশি করেছে কোচ অরুণ লালকেও। তিনি বলেছেন, ‘‘এ রকম একটা জয় পাওয়ার জন্য মরিয়া ছিলাম আমরা। কেরল যথেষ্ট ভাল দল। ওদেরই ঘরের মাঠে এসে তিন দিনের মধ্যে হারিয়ে দিয়ে যাওয়া নিঃসন্দেহে দারুণ ব্যাপার। এই মরসুমে জাতীয় ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় আমরা ভাল খেলতে পারিনি। এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে।’’

এই ম্যাচে কেরল পেয়েছিল সঞ্জু স্যামসনকে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে স্যামসনকে মাত্র ১৮ রানে ফিরিয়ে দেন ডিন্ডা। কেরলের হয়ে লড়াই করেছিলেন রবিন উথাপ্পা (৩৩) এবং বিষ্ণু বিনোদ (৩৩)। কিন্তু অফস্পিনার অর্ণব এবং বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজের বলে এই দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে কেরলের লড়াই শেষ হয়ে যায়। ঈশ্বরণ বলছিলেন, ‘‘উথাপ্পা ছাড়া ওদের বাকি ব্যাটসম্যানরা আমাদের বোলারদের আক্রমণ করতে চেয়েছিল। আমরা সে ভাবেই ফিল্ডিং সাজিয়ে সফল হই।’’ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন অধিনায়ক। তাঁর কথায়, ‘‘দলে মনোজ এবং অন্যান্য সিনিয়র ক্রিকেটার থাকায় খুব সুবিধে হয়েছে। অর্ণবও যথেষ্ট অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। খুব ভাল খেলেছে।’’

প্রথম ম্যাচেই এই রকম জয় যে দলের মনোবল অনেক বাড়িয়ে দেবে, তা আগেই বলেছেন অরুণ। তিনি এও বলছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত এর পরের ম্যাচগুলোতেও ভাল খেলব আমরা।’’ অরুণ মনে করেন, দলে অলরাউন্ডার বেশি থাকায় অনেক সুবিধে হয়ে যাবে। অরুণের মন্তব্য, ‘‘দলের সাত এবং আট নম্বর যদি ভাল অলরাউন্ডার হয় আর শেষের দিকে স্কোর করতে পারে, তা হলে দল শক্তিশালী হয়ে ওঠে।’’ এই ম্যাচে সাত নম্বরে নেমে শাহবাজ ৫০ রান এবং আট নম্বরে নেমে অর্ণব ২৯ রান করেন। প্রথম ইনিংসে কেরলকে পিছনে ফেলতে এই দুই অলরাউন্ডারের বড় অবদান রয়েছে। জয়ের রাস্তাও তৈরি করে দেন দুই স্পিনার অলরাউন্ডার। যে রাস্তায় হেঁটে এর পরে বোলাররা ছয় পয়েন্ট এনে দেন বাংলাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন