ইস্টবেঙ্গল কোচের জ্যাকেট বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের গায়ে চড়ানো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা!
একই কথা প্রযোজ্য ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের ক্ষেত্রেও!
তবে লাল-হলুদে এই জোড়া কোচের নাম সরকারি ভাবে ঘোষণা না হলেও ক্লাবের তরফ থেকে এ দিনই জানিয়ে দেওয়া হল, চলতি মরসুমে মেহতাবদের সহকারী কোচ হতে চলেছেন প্রায় দু’দশক আগে ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া কেনিয়ার স্যামি ওমোলো।
মঙ্গলবারই সল্টলেকের হোটেলে বিশ্বজিতের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ক্লাবের অন্যতম শীর্ষ কর্তা। সেখানে কথাবার্তা ফলপ্রসু হলেও কত দিনের জন্য বিশ্বজিৎ কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন তা নিয়ে সামান্য জট রয়ে গিয়েছে।
বিশ্বজিৎকে এ দিন ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি। লাল-হলুদের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার যদিও এ দিন আলোচনার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘‘বিশ্বজিতের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে এখনও কিছুই ঠিক হয়নি। ও নিজেও কিছুটা সময় চেয়েছে। ক্লাবও কিছুটা সময় নিচ্ছে। দ্রুত এ ব্যাপারে ক্লাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ সঙ্গে তিনি এটাও বলে দেন, ‘‘ক্লাবে আর্থিক টানাটানি রয়েছে। তার সুরাহা হয়ে গেলে আই লিগের আগে কোচের পদে এর সঙ্গে আরও কয়েক জনকে আমরা নিয়োগ করতেই পারি। তবে সেটা প্রয়োজন বুঝে।’’
আই লিগের আগে নিয়োগের সম্ভাবনা থাকা সেই কোচেদের তালিকায় ট্রেভর জেমস মর্গ্যান রয়েছেন কি না তা জানতে চাওয়া হলে শীর্ষ কর্তা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ক্লাবে কোচ নিয়োগের ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা যে একজোট তা বুঝিয়ে দেন দেবব্রতবাবু। ‘‘মর্গ্যান নিয়ে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কোনও বিদ্বেষ বা প্রীতি নেই। মর্গ্যানের মতো বিগ বাজেটের বিদেশি কোচ নিয়োগ করতে গেলে যে অর্থ সংস্থান দরকার আগে তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা হয়ে গেলে আই লিগে আমরা দু’টোর জায়গায় পাঁচটা কোচও রাখতে পারি। ক্লাব সচিবও ঠিক এ কথাই বলেছেন।’’
লাল-হলুদ কর্তারা যাই বলুন না কেন ঠিক এখানেই আটকে রয়েছে আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গল কোচের সরকারি ভাবে নাম ঘোষণা। সূত্রের খবর, এ দিন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বিশ্বজিৎ নাকি জানতে চেয়েছেন তাঁকে কত দিনের জন্য কোচ চাইছে লাল-হলুদ। ময়দানের এই স্বাধীনচেতা কোচ ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি এটাও বলেছেন, ইস্টবেঙ্গল আমাকে জানাক কত দিনের জন্য দায়িত্ব। অর্থটা কোনও ফ্যাক্টর নয়। তবে যে সময়টা আমি পাব তখন টিম নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমিই নেব। তার পরে যদি কেউ দায়িত্বে আসেন। তখন টিমের শেষ কথা তিনি বলবেন। অর্থাৎ, অতীতে দু’বার মোহনবাগানকে আই লিগে অবনমনের হাত থেকে বাঁচানো এবং ইউনাইটেড স্পোর্টসকে আই লিগের মূলপর্বে তোলা এই বঙ্গসন্তান কোচ যে প্রথম বার ইস্টবেঙ্গলে কোচিং করতে এসে একক ভাবেই দায়িত্ব চাইছেন তা ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহলে।
ঠিক এই জায়গাতেই একটা সেতুবন্ধন চাইছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। যার জন্য বুধবারেও বিশ্বজিতের সঙ্গে আর এক প্রস্ত কথাবার্তা হবে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। বঙ্গসন্তান কোচ একটু নরম হলেই কলকাতা লিগে বিশ্বজিৎ কোচের দায়িত্বে আসবেন। আর আই লিগের আগে ইস্টবেঙ্গলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হয়ে আসবেন ট্রেভর জেমস মর্গ্যান।