—ছবি রয়টার্স।
মেলবোর্নের বাইশ গজে প্রথম ইনিংসে যেখানে ৪৪৩ রান করেছে ভারত, সেই পিচেই ১৫১ রানে শেষ হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। বিপক্ষের গোটা দল মিলিয়ে যা রান তুলেছে, বিরাট কোহালি ও চেতেশ্বর পূজারার জুটি তার থেকে ১৯ রান বেশি (১৭০) করেছে প্রথম ইনিংসে। কোহালি-পূজারা জুটির প্রশংসা শুধুমাত্র ভারতীয় শিবিরেই সীমাবদ্ধ নেই। শুক্রবার তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলীয় পেসার প্যাট কামিন্সও জানিয়ে দিলেন, কোহালি-পূজারার ইনিংস দেখেই শিক্ষা নেওয়া উচিত তাঁর দলের ব্যাটসম্যানদের।
কামিন্স বলেছেন, ‘‘প্রথম ইনিংসে আমরা সবাই দেখেছি, পূজারা ও কোহালি কী ভাবে ইনিংসটি সাজিয়েছে। এ ধরনের পিচে রান করতে গেলে প্রয়োজন ধৈর্য। শুরু থেকেই রান করা যায় না। আগে বোলারদের চাপ সামলাতে হয়, তার পরে রান করা যায়। ওরা কিন্তু শুরু থেকেই স্কোরিং শট খেলেনি। ওরা চাপ সামলেছে, ধৈর্য ধরেছে, তবেই না রান পেয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত আমরা সেটা পারিনি।’’ যোগ করেন, ‘‘দ্বিতীয় ইনিংসে ওদের মতোই ব্যাট করতে হবে আমাদের।’’
এ দিকে, বুমরার বিধ্বংসী বোলিংয়ে মুগ্ধ মাইকেল ক্লার্ক। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বলে দিলেন, দ্রুত তিন ফর্ম্যাটে বিশ্বের সেরা বোলার হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে বুমরার। ‘‘অধিনায়কের জন্য দারুণ অস্ত্র বুমরা। প্রত্যাশার চাপ প্রভাব ফেলতে পারে না ওর উপর। সব সময় ও শিখতে চায়। কঠোর পরিশ্রম করতে পারে। দ্রুতই বিশ্বের সেরা বোলার হয়ে উঠবে বুমরা। আগামী কয়েক মাসে তিনটি ফর্ম্যাটেই এক নম্বর বোলারের জায়গা নেবে ও,’’ বলেন ক্লার্ক।