পেশাদার হতে তৈরি কিংবদন্তি বর্গ-শুমাখারদের ছেলেরাও

বর্গ মনে করেন, টেনিসে উন্নতি করতে শুধু ইউরোপে পড়ে থাকলে চলবে না। বিশ্বের নানা প্রান্তে খেলতে হবে। ছেলেকে নিজেই প্রশিক্ষণ দেবেন?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৪৮
Share:

উত্তরসূরি: ছেলে লিয়োর সঙ্গে বর্গ।

বাবা বিয়র্ন বর্গ। এগারোটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। ছেলে পনেরো বছরের লিয়োও টেনিস খেলছে। এবং অচিরেই পা রাখবে পেশাদার সার্কিটে। বাবা মিশায়েল শুমাখার। ফর্মুলা ওয়ানের কিংবদন্তি। ছেলে উনিশ বছরের মিক আপাতত ফর্মুলা থ্রি-র নামী চালক। এবং এই বয়সেই চ্যাম্পিয়ন!

Advertisement

বর্গের ছেলে লিয়ো জীবনে প্রথম বার স্টকহোম ওপেনের প্রি-কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলে ফেলেছে। যদিও প্রথম রাউন্ডে হেরে যায়। এখানে জিতলে এটিপি২৫০ কোয়ালিফাইং প্রতিযোগিতাতে নামতে পারত। সে সুযোগ হারালেও লিয়োর প্রতিভা নিয়ে সংশয় নেই অনেকের। এক নামী বাণিজ্যিক সংস্থা ইতিমধ্যেই তার সঙ্গে চুক্তি করেছে। কিংবদন্তি বাবাও ছেলেকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মিশায়েল বহুকাল ধরে কোমায়। তাঁর জানার সুযোগ নেই, ছেলের সাফল্যের কথা। কিন্তু যাঁরা খোঁজ রাখেন তাঁদের অজানা নয়, ফর্মুলা থ্রি-তে কত দ্রুত উঠে আসছেন মিক। এ’মরসুমে সাতটি রেসে চ্যাম্পিয়নও। ছেলেকে নিয়ে কতটা আবেগাপ্লুত মিশায়েল জানার উপায় না থাকলেও টেনিসের কিংবদন্তি বিয়র্ন বর্গ ছেলে লিয়োকে নিয়ে বলছেন, ‘‘আমার তো মনে হয় ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। টেনিসে উন্নতি করতে হলে দরকার বড় হৃদয়ের। মানে খেলাটাকে পাগলের মতো ভালবাসতে হবে।’’

Advertisement

এখনই চ্যাম্পিয়ন শুমাখার-পুত্র মিক।

মিককে নিয়ে মিশায়েলের ভাবনার কথা জানা না গেলেও জার্মান কার রেসের বড় নাম জেরহার্ড বার্জার বলছেন, ‘‘মিকের মধ্যে ওর বাবার জিনই রয়েছে। এ ভাবে যদি ও এগিয়ে যেতে থাকে তা হলে একদিন না একদিন ওকে ফর্মুলা ওয়ানে দেখা যাবে।’’ এখানেই শেষ নয়। শোনা যাচ্ছে, মার্সিডিজও মিকের ব্যাপারে দারুণ উৎসাহী।

কর্নিয়া বেতসরের সঙ্গে মিশায়েলের বিয়ে হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। তাঁদের এক মেয়ে ও এক ছেলে। মিক ছোট। আর বর্গ ২০০২ সালে তৃতীয় বার বিয়ে করেন প্যাট্রিসিয়া ওস্টফেল্ডকে। লিয়ো তাঁদেরই ছেলে। সে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত নিজের বয়সভিত্তিক বিভাগে সুইডেনে সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিংয়ের খেলোয়াড় ছিল। এত বিখ্যাত একজনের ছেলে হওয়াটা লিয়োর উন্নতির অন্তরায় হবে কি না জানতে চাওয়া হলে বর্গ বলেছেন, ‘‘এটা একটা বিশেষ দিক। কিন্তু খারাপ কিছু না। আসল ব্যাপার নিজের খেলায় কতটা মন দিচ্ছে। টেনিসে পুরোপুরি মন দিতে লিয়ো আর স্কুলেও যাবে না।’’

বর্গ মনে করেন, টেনিসে উন্নতি করতে শুধু ইউরোপে পড়ে থাকলে চলবে না। বিশ্বের নানা প্রান্তে খেলতে হবে। ছেলেকে নিজেই প্রশিক্ষণ দেবেন? এমন প্রশ্নে বর্গের জবাব, ‘‘না। আমি আর প্যাট্রিসিয়া সব সময়ই ওর পাশে আছি। কিন্তু প্রশিক্ষণ দেবে অন্য কেউ। দিচ্ছেনও একজন।’’

লিয়োকে এখনও অনেক দূর যেতে হবে। পাশাপাশি মিক উঠে আসছেন দ্রুত। কিন্তু দু’জনই শেষ পর্যন্ত কত দূর যাবেন তা বলে দেবে সময়ই।

—ফাইল চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন