সমস্যা: ইস্টবেঙ্গল মাঠ তৈরি। অনুশীলনে পাওয়া যাবে তো? নিজস্ব চিত্র
পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর মোহনবাগানের সঞ্জয় সেন ফের অনুশীলন শুরু করবেন বুধবার। শুক্রবার থেকে নামবে ইস্টবেঙ্গল।
সনি নর্দে এবং মেহতাব হোসেনরা প্রবল ভাবে রয়েছেন খেতাবের দৌড়ে। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ষোলো বছর পর ফের মাঠের দখল নিয়ে দুই প্রধানের সঙ্গে ধুন্ধুমার লেগে গেল রাজ্য হকি সংস্থার। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, দুই প্রধান নিজেদের মাঠে আদৌ অনুশীলন শুরু করতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হল।
সেনাবাহিনীর নিয়মানুযায়ী ১৫ মে পর্যন্ত তিন ঘেরা মাঠ-সহ ময়দানের সব মাঠ থাকার কথা হকির দখলে। তা সত্ত্বেও আই লিগের প্রস্তুতির জন্য বিকেলে হকির ম্যাচ থাকলেও সকালে অনুশীলন করত দুই প্রধানই। কিন্তু এ বার বিধি বাম। হকি কর্তারা এ বার আর মাঠ দিতে রাজি নন ফুটবলকে। তাদের দাবি, সকালে ফুটবল হলে বুটের স্পাইকে নষ্ট হয়ে যায় মাঠ। হকির বল আটকে যায় গর্তে। খেলতে অসুবিধা হয়। এই অবস্থায় বিএইচএ কর্তারা দ্বারস্থ হন মাঠের দায়িত্বে থাকা সেনা কর্তাদের। কর্নেল বীরেন্দ্র কুমার সিংহের ঘরে তিন প্রধান ক্লাবকে ডেকে কয়েক দিন আগে সভা হয়, সেখানে ঠিক হয়, ঘেরা মাঠে ফুটবল হবে না। হকি সংস্থার দুই সহ-সচিব ইস্তিয়াক আলি এবং আলাউদ্দিন সোমবার বলে দিলেন, ‘‘মাঠ আমাদের। ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান মাঠে নামলে আমরা বন্ধ করে দেব। সেনাদের পক্ষ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে এরকম হলেই অভিযোগ জানাতে। এতদিন অনেক চাপ সহ্য করেছি। এ বার করব না।’’ ইতিমধ্যেই মোহনবাগান মাঠে সকালে স্কুল ফুটবলারদের অনুশীলন বন্ধ করে দিয়েছেন ওই দুই কর্তা। টাউন মাঠে একটি ক্রিকেট ম্যাচও বন্ধ করে দিয়েছেন। একটা সময় হকি কর্তাদের চাপে নিয়মিত দুই প্রধানের মাঠে এসে কোচ-ফুটবলারদের তাড়া করত ঘোড়সওয়ার পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হত অনুশীলন। আবার সেই ছবি সকালের ময়দানে ফিরবে কি না তা সময় বলবে। তবে সেনা ও হকি কর্তাদের চাপে দুই প্রধানই বেশ চাপে।
মাঠ সমস্যার জন্যই অনুশীলন করতে মেহতাব-ওয়েডসনরা যেতেন সল্টলেকে। এ বার নিজেদের মাঠেই অনুশীলন শুরুর কথা ছিল ট্রেভর মর্গ্যানের টিমের। ইস্টবেঙ্গলের মাঠ সচিব বললেন, ‘‘মাঠে সকালে অনুশীলন করা যাবে না কেউ তো বলেনি। মোহনবাগান যদি করে আমরাও করব।’’ আর মোহনবাগান সহ সচিবের হুঙ্কার, ‘‘আমরা যাতে আই লিগ না পাই সে জন্য চক্রান্ত করছে হকি।’’