গরমে ম্যাচ পিছনোর পরিকল্পনা এখনও নেই সিএবি-র

যেমন বডোদরা, হায়দরাবাদ, পুণে, উদয়পুরের মতো জায়গাতেও চলছে স্থানীয় ক্রিকেট। এ দিন দুপুরে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  হায়দরাবাদের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০১৯ ০৪:৫৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

কলকাতায় প্রচণ্ড দাবদাহের মধ্যে স্থানীয় ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল সিএবি। কর্তারা এ দিন খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, ভারতের অন্যান্য জায়গায় একই রকম বা বেশি গরমেও ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়নি।

Advertisement

যেমন বডোদরা, হায়দরাবাদ, পুণে, উদয়পুরের মতো জায়গাতেও চলছে স্থানীয় ক্রিকেট। এ দিন দুপুরে কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হায়দরাবাদের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উদয়পুরে ৪১ ডিগ্রি। বডোদরায় ৪০ ডিগ্রি। এর মধ্যে হায়দরাবাদে রবিবার আইপিএল ফাইনালও রয়েছে। যদিও সেই ফাইনাল হবে রাতে নৈশালোকে।

অন্য রাজ্যে ক্রিকেট চললেও কলকাতার ক্রিকেটারেরা প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে চলেছেন। কিন্তু প্রতিযোগিতা পিছনো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিএবি কর্তারা। তার কারণ, এখনও অনূর্ধ্ব-১৩ ও অনূর্ধ্ব-১৫ সাব জুনিয়র প্রতিযোগিতা শুরু করা যায়নি। বর্তমানে স্থানীয় লিগ পিছিয়ে দেওয়া হলে তা শেষ হওয়ার আগেই এসে পড়তে পারে বৃষ্টি।

Advertisement

শনিবার সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া বলেন, ‘‘শুধু কলকাতায় নয়, ভারত জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলছে স্থানীয় ক্রিকেট। প্রতিযোগিতা পিছনোর কোনও সুযোগ আমাদের নেই। তবে আমরাও গরম থেকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।’’ সেই ব্যবস্থাগুলি কী রকম, জানতে চাওয়ায় তিনি যোগ করেন, ‘‘বাড়ানো হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবস্থা। প্রত্যেক মাঠে দেওয়া হচ্ছে এনার্জি ড্রিঙ্ক। যথেষ্ট পরিমাণের বরফও রাখা হচ্ছে সব মাঠে। খেলোয়াড়দের বলা হয়েছে বেশি করে কলা খেতে।’’

শুক্রবার সিএবি-র স্থানীয় ক্রিকেট লিগ চলাকালীন ইডেন ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাস মাঠের ড্রেসিংরুমের বাতানুকূল ব্যবস্থা কাজ করছিল না। ইডেনে দুপুরের মধ্যে এসি চালু করে দেওয়া হলেও সল্টলেক ক্যাম্পাসের ড্রেসিংরুমের এসি সারানো যায়নি। কিন্তু শনিবার সল্টলেক ক্যাম্পাসের ড্রেসিংরুমের বাতানুকূল ব্যবস্থা ঠিক করে ফেলা হয়। এ দিন টাউন ক্লাব বনাম উয়াড়ি অ্যাথলেটিক ক্লাবের ম্যাচ চলাকালীন কোনও সমস্যা হয়নি।

তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য প্রত্যেক মাঠে এনার্জি ড্রিঙ্কের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইডেনেও যেমন দু’দলের জন্য ছিল তা। তেমনই যাদবপুর সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে অন্যথা হয়নি। সেই সঙ্গে দু’দলের জন্য ছিল বরফের ব্যবস্থাও।

তবে বড়দের খেলা একই রকম ভাবে চালিয়ে যেতে চাইলেও ছোটদের ক্রিকেটে গরমের জন্য পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা রয়েছে সিএবি-র। সোমবার টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে প্রস্তাব রাখা হবে অনূর্ধ্ব-১৩ ও অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ের ম্যাচের সময় যদি এগিয়ে আনা যায়। ময়দানের অনেক মাঠেই সকালের দিকে ফুটবল অনুশীলন করা হয়। কিন্তু যে মাঠে অনুশীলন হয় না, সে সব মাঠে ছোটদের ম্যাচ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তার তালিকাও চেয়ে পাঠিয়েছেন সিএবি যুগ্ম-সচিব। সকাল সাতটা থেকে যদি ম্যাচ চালু করা যায়, তা হলে দুপুরের মধ্যে শেষ করে দেওয়া যেতে পারে। কথা চলছে খুদেদের খেলার ওভার সংখ্যাও কমানো হতে পারে।

সাধারণত ৪৫ অথবা ৪০ ওভারের ম্যাচ হয় সাব-জুনিয়র পর্যায়ে। গরমের থেকে খুদেদের রক্ষা করতে ৩০ থেকে ৩৫ ওভারের ম্যাচ করার কথা ভাবছেন সিএবি কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন