ফাইল চিত্র
অনুরাগ ঠাকুর সরতেই সবার আগে বিসিসিআই মসনদে বসার যোগ্য হিসেবে যাঁর নাম উঠে এসেছে তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। স্বয়ং সুনীল গাওস্করও সৌরভের নামেই সওয়াল করেছিলেন, কিন্তু সব জল্পনায় জল ঢাললেন সৌরভ নিজেই, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, বিসিসিআই-এর সভাপতি পদের যোগ্য নন তিনি। ওই পদে বসার জন্য যে যোগ্যতা প্রয়োজন হয় সেটা তাঁর নেই। মঙ্গলবার সিএবিতে বসেই সে কথা জানিয়ে দিলেন বাংলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘আমার নাম অকারণেই উঠে আসছে। আমি ওই পদের যোগ্য নই। মাত্র এক বছরই হয়েছে সিএবি সভাপতির পদ সামলাচ্ছি। আরও দু’বছর রয়েছে। আর আমি বিসিসিআই সভাপতি পদের পিছনে দৌড়চ্ছি না।’’ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর প্রকাশ করেছে।
যদিও একদিন আগেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর সৌরভকে বিসিসিআই-এর সভাপতি পদে দেখতে চেয়ে ১৬ বছর আগের এক উদাহরণ তুলে এনেছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘১৯৯৯-২০০০এ গড়াপেটায় জর্জরিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল সৌরভের হাতে। সে সময় সেই দলকে দারুণ সামলেছিল। খারাপ অবস্থা থেকে দেশকে তুলে এনেছিল।’’ কিন্তু একইভাবে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের দায়িত্ব নিতে এখনই রাজি নন তিনি।
লোঢা কমিটির দেখানো পথে সিএবি হাঁটবে কি না জানতে চাওয়া হলে সৌরভ জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান করাটাই তাদের কাজ। বলেন, ‘‘বুধবার এই নিয়ে একটা মিটিং রয়েছে। সেখানেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব কী করা হবে।’’
২২ জানুয়ারি ইডেনে ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় একদিনের ম্যাচের পরই বিশেষ মিটিং ডাকা হবে বলেও জানিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- সিএবি-তে নির্বাচনী দামামার মৃদু আওয়াজ