হাসপাতালে অধিনায়ক, বড় সমস্যায় বাংলা দল

সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার শেষ চারে ওঠার লড়াই। সেমিফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি আজ রবিবার গ্রুপ লিগে শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে বাংলার কোচ রঞ্জন চৌধুরীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৮ ০৫:০৬
Share:

সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার শেষ চারে ওঠার লড়াই। সেমিফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি আজ রবিবার গ্রুপ লিগে শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ের কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে বাংলার কোচ রঞ্জন চৌধুরীকে। এই অবস্থায় পেটের ব্যথায় কাবু দলের অধিনায়ক জিতেন মুর্মুকে ভর্তি করতে হল হাসপাতালে। আপতত ইঞ্জেকশন দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়েছে জিতেনকে। নানা পরীক্ষার পর ডাক্তাররা শনিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য বুঝতে পারছেন না সমস্যাটা কী? রাতের খবর, আজ সকালে বাংলার স্ট্রাইকারকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

এই অবস্থায় জিতেনকে নামানোর ঝুঁকি নিতে চাইছে না বাংলা। তাঁর জায়গায় রাজন বর্মন-কে নামানো হচ্ছে। পলতার ছেলে রাজন আগের ম্যাচে মহারাস্ট্রের বিরুদ্ধে বদলি হিসাবে নেমে দুর্দান্ত একটি গোল করেছিলেন। তাঁর উপরই আস্থা রাখতে চাইছেন কোচ রঞ্জন।

মোহনবাগান মাঠে আজ বাংলার খেলা চণ্ডীগড়ের সঙ্গে। অন্যদিকে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে কেরলের সঙ্গে ম্যাচ রয়েছে মহারাস্ট্রের। যা অবস্থা তাতে গ্রুপ লিগের শীর্ষে থাকার জন্য লড়াই হবে বাংলা এবং কেরলের। দু’ম্যাচের পর গোল পার্থক্যে এগিয়ে আছে কেরল। এই অবস্থায় বাংলার কোচ চাইছেন, চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জিততে। বলছিলেন, ‘‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য জেতা। জিতলে শেষ চারে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে। তারপর চেষ্টা করতে হবে গ্রুপ শীর্ষে যাওয়ার জন্য বড় ব্যবধান তৈরি করা। সেভাবেই ছেলেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করছি।’’

Advertisement

এমনিতে এ বার সে ভাবে পুরো দল নিয়ে অনুশীলন হয়নি বাংলার। জিতেন মুর্মু, তীর্থঙ্কর সরকার-রা মহমেডানের হয়ে আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ খেলে যোগ দিয়েছেন দলে। এক দিনও দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি। এই অবস্থায় টিমের একাত্মতা বাড়াতে পুরো টিমকে একই হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য ফুটবল সংস্থা। সেখান থেকেই অনুশীলনে যাচ্ছে পুরো দল। রঞ্জন বলছিলেন, ‘‘নানা কারণে এক সঙ্গে অনুশীলন হয়নি আমাদের। সে জন্যই সবার একসঙ্গে হোটলে থাকাটা কাজে দিচ্ছে। বাংলা গতবারের চ্যাম্পিয়ন। তার উপর নিজেদের রাজ্যে খেলা। সে জন্যই আমাদের কাছে সবাই ভাল ফল প্রত্যাশা করছে। প্রথম দুটি ম্যাচ বড় ব্যবধানে জেতার পর সেই চাপ আরও বেড়েছে। সেটাই ছেলেদের এখন বোঝাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন