কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ

মহমেডান মাঠ দেখে অবাক দিয়েগোর ছাত্র

সুব্রত ভট্টাচার্যের মহমেডানের  বিরুদ্ধে খেলতে নেমে আদেমালো এগিয়ে দিয়েছিলেন নিজের দল এরিয়ানকে। তবে সেই গোলের জন্য তাঁর কৃতিত্ব যতটা, তার চেয়ে বেশি ধন্যবাদ পেতে পারে বৃষ্টির জল, কাদা এবং সতীর্থ রাজীব ঘড়ুইয়ের শট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১৫
Share:

দুঃসহ: কাদা-মাঠে গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টা তীর্থঙ্করের। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

মহমেডান ১ • এরিয়ান ১

Advertisement

মহমেডান স্পোর্টিং মাঠের কাদা আর বৃষ্টির মধ্যে খেলতে হবে জানলে হয়তো ভারতেই খেলতে আসতেন না কুটি আদেমালো!

দিয়েগো মারাদোনা তাঁর কাঁধে হাত দিয়ে আছেন, এই ছবি তাঁর ফেসবুক পেজে ঝলমল করছে। দু’বছর আগে বিশ্ব ফুটবলের রাজপুত্র যখন সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে কোচিং করাতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর কোচিংয়ে খেলেছিলেন কুটি আদেমালো। মারাদোনা যে দলে কোচিং করাতেন, সেই ফুজাইয়ারার সিনিয়র দলের হয়ে খেলেছেন নাইজিরিয়ার এই স্ট্রাইকার। গোলও আছে তাঁর। বুধবার ম্যাচের পর সেই আদেমালো বলছিলেন, ‘‘আমিরশাহির যুব লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পর মারাদোনা আমাকে সিনিয়র দলে সুযোগ দেন। কিন্তু এখানে কী খেলব? ভারতে আসার আগে বুঝতে পারিনি, এ রকম মাঠেও ফুটবল হয়।’’

Advertisement

সুব্রত ভট্টাচার্যের মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে আদেমালো এগিয়ে দিয়েছিলেন নিজের দল এরিয়ানকে। তবে সেই গোলের জন্য তাঁর কৃতিত্ব যতটা, তার চেয়ে বেশি ধন্যবাদ পেতে পারে বৃষ্টির জল, কাদা এবং সতীর্থ রাজীব ঘড়ুইয়ের শট। যার অভিমুখ ঘুরিয়ে দিয়ে গোল করে যান তিনি। এর পরে আর খুঁজেই পাওয়া গেল না মারাদোনার প্রাক্তন ‘ছাত্র’-কে। একটা ভাল রিসিভ, একটা ভাল পাস এবং বিপক্ষের গোল লক্ষ করে শট বেরোল না তাঁর পা থেকে। শুধুই অসহায়ের মতো দৌড়োদৌড়ি করে গেলেন।

একই অবস্থা মহমেডানের তীর্থঙ্কর সরকারের। এক সময়ে মোহনবাগানে তাঁর সঙ্গে তুলনা করা হত সনি নর্দের। সেট পিসে তাঁর পা থেকে বাঁক খাওয়ানো শট আছড়ে পড়ত বিপক্ষের গোলে। এ দিন কর্নার থেকে তাঁর বাঁক খাওয়া শট গোলে ঢোকার মুখে ধরতে গিয়ে ফস্কালেন এরিয়ান গোলকিপার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরুর পনেরো মিনিটের মধ্যেই ম্যাচ ১-১ হয়ে গেল। তীর্থঙ্করও এর পরে আর কিছু করতে পারলেন না।

বৃষ্টি শুরু হলে ময়দানের মাঠগুলো যে খেলার অযোগ্য হয়ে ওঠে, এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু এ দিন কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচে মহমেডান মাঠের যা হাল হয়েছিল, তা বল প্লেয়ারদের কাছে বধ্যভূমি। তারই শিকার আদেমালো, তীর্থঙ্কররা। বলই যদি মাঠে ঠিকমতো না গড়ায়, গোলের সামনে গিয়ে কাদায় বলের গতি যদি মন্থর হয়, তা হলে খেলাটা কী করে হবে? নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে চুনের দাগও মুছে গিয়েছিল অনেক জায়গায়। এই অবস্থায় যা হওয়ার, তাই হল। শুধুই বল নিয়ে লাথালাথি, চোরাগোপ্তা মার আর কাদায় আটকে যাওয়া বল নিয়ে দৌড়নোর আপ্রাণ চেষ্টা। গত বছর এরিয়ানের কাছে হেরেছিল মহমেডান। এ দিন ম্যাচ ড্র করার পরে গ্যালারিতে তাই খুশির হাওয়া। কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য দল নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হাততালিও পড়ল।

মহমেডান: মনিরুজ্জামান আনসারি, আসিফ আলি (সাফিউল রহমান), করিম ওমোলোজা, অরিজিৎ সিংহ, কামরান ফারুক, সত্যেন শর্মা (সামশেদ আলি), মুসা মুদে, তীর্থঙ্কর সরকার, প্রসেনজিৎ পাল, আর্থার কোশি, মহম্মদ আমিরুল (আমির হোসেন)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন