ফাইল চিত্র।
সময়টা ভাল যাচ্ছে না একদমই। না হলে অতিরিক্ত সময়ে গোল হজম করে পুরো তিন পয়েন্ট নষ্ট করতে হয়। শুরু থেকে যে ইস্টবেঙ্গল লিগ শীর্ষে পতাকা ওড়াচ্ছিল তারাই কী না পর পর হারের মুখ দেখছে। কখনও ঘরের মাঠে তো কখনও অ্যাওয়ে ম্যাচে। আই লিগের সদ্যজাত দল চেন্নাই সিটি এফসির কাছেও এ বার হেরে ফিরতে হচ্ছে মর্গ্যান অ্যান্ড ব্রিগেডকে। অতিরিক্ত সময়ের গোলেই শেষ হাসি হাসল হোম টিম।
যদিও ম্যাচের শুরুটা করে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলই। শুরু থেকেই ম্যাচের উত্তেজনা ছিল টানটান। তাই শুরু থেকেই আক্রমণে উঠছিল দুই দলই। ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই পেইনের গোলের ঠিকানা লেখা শট বাঁচিয়ে দেন চেন্নাই গোলকিপার করণজিৎ সিংহ। ৯ মিনিটে চেন্নাইয়ের আক্রমণ আটকে যায় রেহনেশের হাতে। এর পরই পেনাল্টির দাবি ওঠে লাল-হলুদ শিবিরে। বক্সের মধ্যে প্লাজাকে ফেলে দিয়েছিলেন রাবানন। কিন্তু খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। এর পরই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইস্টবেঙ্গলের নিখিল পূজারি। ১৪ মিনিটেই তাঁকে বদলে নিয়ে আসা হয় মহম্মদ রফিককে। ২০ মিনিটে আবারও পেইনের শচ দক্ষতার সঙ্গে বাঁচিয়ে দেন করণজিৎ। ২৭ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ডিকা। তাঁর শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে রবিনের শট চলে যায় বারের উপর দিয়ে। প্রথমার্ধ শেষের ঠিক তিন মিনিট আগে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন উইলিস প্লাজা। তার আগেও নিশ্চিত সুযোগ মিস করেন ডিকা। ৪২ মিনিটে শেষ পর্যন্ত প্রচুর সুযোগ নষ্টের পর গোল পায় ইস্টবেঙ্গল।
আরও খবর: বার্সেলোনা-পিএসজি ঐতিহাসিক ম্যাচের রিপ্লে চাইলেন সমর্থকরা
প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ৫৭ মিনিটে অ্যাওয়ে টিমের এগিয়ে থাকার আত্মবিশ্বাসে জল ঢেলে দিলেন চেন্নাইয়ের নন্দ কুমার। এর পরও দুই দলের মিসের পালা ছিল দেখার মতো। ৮০ মিনিটে যে মিস দেখাল ইস্টবেঙ্গল তা হয়তো আজ রাতের ঘুম কেড়ে নেবে দলের সকলেরই। মেহতাবের কর্নার জটলার মধ্যে থেকে কেউ হেড করেছিল গোলে। সেই বল নিজের মতোই রোল করে পৌঁছে গিয়েছিল গোললাইনের কাছে। করণজিৎ ছিলেন না জায়গায়। শেষ মুহূর্তে অভিষেক দাস গোললাইন সেভ না করলে তখনই ২-১এ এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারত। এর পর মিসের তালিকায় নাম লেখালেন রবিন সিংহ, বিকাশ জাইরুরা। যার ফল ৯২ মিনিটে প্রশান্ত কারুথাদাথকুনির গোলে হেরেই শেষ করতে হল। তখন আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল না।