ফাইনালে বেঙ্গালুরু-কে হারানোর পরে চেন্নাইয়িন এফসি-র ফুটবলারদের উল্লাস। শনিবার। ছবি: পিটিআই
আইএসএলে দু’বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির ছিল এটিকের। শনিবার বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলল চেন্নাইয়িন এফসি। বিপক্ষের ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলেও জয়ী জেজে লালপেখলুয়া-রা। ২০১৫ সালে গোয়া থেকে খেতাব নিয়ে গিয়েছিল চেন্নাইয়িন। এ বার বেঙ্গালুরুরও তাদের ঘরের মাঠে হারাতে পারল না জেজে-দের।
প্রথম বার আই লিগে নেমেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু। আইএসএলেও ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলতে নেমে সেই নজির গড়ার সুযোগ ছিল তাঁদের। ম্যাচের ১৭ মিনিট পর্যন্ত সেই স্বপ্ন টিকে ছিল বেঙ্গালুরু-র। ন’মিনিটেই দুরন্ত হেডে গোল করে বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তবুও শেষ রক্ষা হল না।
১৭ মিনিটের মাথায় মেলসন আলভেজের গোলে সমতা ফেরায় চেন্নাইয়িন এফসি। কর্নার থেকে ভাসানো বলে মাথা ছুঁয়ে চেন্নাইয়িনকে ম্যাচে ফেরান তিনি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে কর্নার পায় চেন্নাইয়িন। নেলসনের সেই কর্নার থেকে আরও একবার মাথা ছুঁয়ে চেন্নাইয়িন-কে ২-১ এগিয়ে দেন মেলসন। ৫৯ মিনিটে গোল করে ফেলেছিলেন বেঙ্গালুরুর উদান্ত সিংহ। কিন্তু অফসাইডের কারণে তা বাতিল করেন রেফারি।
বেঙ্গালুরুর স্বপ্নে শেষ পেরেকটি অভিষেক বচ্চনের দলের ব্রাজিলীয় ফুটবলার রাফায়েল অগাস্তো। তাঁর গোলেই ৬৭ মিনিটে এটিকের দু’বারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন জেজে লালপেখলুয়া-রা। অতিরিক্ত সময়ে দ্বিতীয় গোল করেন ভেনেজুয়েলা থেকে আসা বেঙ্গালুরু-র স্ট্রাইকার মিকু। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
বেঙ্গালুরুর রক্ষণের ভুলেই বারবার আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছিল চেন্নাইয়িনকে। দশটি ম্যাচ অপরাজিত থাকার আত্মবিশ্বাস সঙ্গে নিয়ে ফাইনালে নেমেছিলেন সুনীলরা। তবে শেষ পর্যন্ত সেই আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারেননি। এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরেও রক্ষণ সামলাতে না পেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় এ মরসুমের ‘হিরো অব দ্য লিগ’-এর। ম্যাচ শেষে সুনীল বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচটা জেতার জন্য আমরা একশো শতাংশ চেষ্টা করেছি। তবে শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। আমাদের সমর্থকদের জন্যই খারাপ লাগছে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘পরের মরসুমে অন্য বেঙ্গালুরু এফসিকে দেখতে পাবেন।’’
আইএসএলের পরে সুপার কাপে আই-লিগের দলগুলোর সঙ্গে লড়তে দেখা যাবে সুনীল, জেজেদের। সেই মহারণে কে জেতে সেটাই এখন দেখার।