এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন রাইয়ের

ক্রিকেট সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাই বলেছেন, ‘‘ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি আগে থেকেই ছিল। আমরা গঠন করিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০৪:০২
Share:

কোচ নির্বাচনের নাটক নিয়ে মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্‌স (সিওএ)-এর প্রধান বিনোদ রাই। সহকারী কোচেদের নিয়ে বিতর্কের ব্যাপারেও মুখ খুলে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাহুল দ্রাবিড় এবং জাহির খান-কে পরামর্শদাতা হিসেবে বাছতে গিয়ে এক্তিয়ার লঙ্ঘনই করেছে তিন সদস্যের ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি। যে কমিটির তিন সদস্য সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভি ভি এস লক্ষ্মণ।

Advertisement

ক্রিকেট সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ‘ক্রিকইনফো’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাই বলেছেন, ‘‘ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি আগে থেকেই ছিল। আমরা গঠন করিনি। কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব কমিটির হাতেই ছেড়েছিলাম আমরা। আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা ছিল ওঁদের ওপর। ওঁরা কোচ বেছে নিলেন, ঠিকই আছে। ওঁদের সম্পূর্ণ অধিকার ছিল কোচ বাছার। কিন্তু কোচ নির্বাচনের পর ওঁরা দু’জন পরামর্শদাতারও নাম দিলেন। যা সচরাচর ঘটে না।’’

অ্যাডভাইসরি কমিটির দাবি ছিল, শাস্ত্রী এবং বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেই দ্রাবিড় এবং জাহিরের নাম ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু রাই বলে দিচ্ছেন, কমিটির দায়িত্ব ছিল শুধুই কোচ নির্বাচনের। সহকারীদের ব্যাপারে তাঁরা শুধু নাম সুপারিশই করতে পারেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁদের হাতে।

Advertisement

আরও পড়ুন: শাস্ত্রীয় মতে বোলিং কোচ ভরত, জাহিরদের নিয়ে ধোঁয়াশা

রাই আরও দাবি করছেন, অনিল কুম্বলের সঙ্গে যে ভারতীয় দলের সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভাবে ভেঙে পড়েছে, সে সম্পর্কে কোনও আঁচই পাননি তিনি। যখন পেলেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। কুম্বলের সঙ্গে যে মাত্র এক বছরের চুক্তি হয়েছে, সেটাও তিনি জানতেন না। ‘‘যখন জানলাম, হয় বদল করতে হয় নয়তো কুম্বলের চুক্তি নবীকরণ করতে হয়। তত দিনে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, টিমের মধ্যে সংহতির অভাব ঘটছিল এবং সেই পরিস্থিতি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না,’’ বলেছেন সিওএ প্রধান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন