ম্যাচ জিতে উল্লাস কোকো গফের। শনিবার ইউএস ওপেনে। ছবি: রয়টার্স।
শুরুতে একটু চাপে ছিলেন কোকো গফ। হয়তো এক মাস আগে উইম্বলডনের প্রথম রাউন্ডে বিদায় নেওয়ার ধাক্কা তখনও মাথায় ঘুরছিল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ইউএস ওপেনে ধীরে ধীরে নিজের ছন্দ ফিরে পাচ্ছেন গফ। মাগডালেনা ফ্রেচকে স্ট্রেট সেটে (৬-৩, ৬-১) হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছেন মহিলাদের তৃতীয় বাছাই।
প্রথম রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার আজ়লা টমলানোভিচের বিরুদ্ধে এক সেট খোয়াতে হয়েছিল গফকে। তিন সেটের লড়াই জেতেন তিনি। দ্বিতীয় রাউন্ডে ডোনা ভেকিচকে স্ট্রেট সেটে হারালেও একটা সেট গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। তৃতীয় রাউন্ডে সবচেয়ে সহজ জয় পেলেন গফ। আমেরিকার টেনিস তারকার সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না মহিলাদের ২৮ নম্বর পোল্যান্ডের ফ্রেচ।
খেলার আগে জিমে যখন নিজেকে তৈরি করছিলেন তখনই আত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছিল গফের চোখেমুখে। খেলা শুরু হওয়ার পর বাস্তবে সেটা দেখা গেল। প্রথম সেটেই ফ্রেচের সার্ভিস ভাঙেন গফ। তবে নিজের সার্ভিস ধরে রাখতেও সমস্যা হয় তাঁর। ফ্রেচও এক বার গফের সার্ভিস ভাঙেন। তাতে চাপে পড়েননি গফ। তিনি ওই সেটে আরও এক বার ফ্রেচের সার্ভিস ভাঙেন। ফলে ফিরতে পারেননি পোল্যান্ডের খেলোয়াড়। প্রথম সেট জিতে আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায় গফের।
দ্বিতীয় সেটে ফ্রেচকে দাঁড়াতেই দেননি গফ। তিন বার তাঁর সার্ভিস ভাঙেন তিনি। এক বারও দেখে মনে হয়নি ফ্রেচ তাঁকে সমস্যায় ফেলতে পারবেন। দ্বিতীয় সেটের খেলা শেষ হয়ে যায় সাতটি গেমেই। ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের লড়াই জিতে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছেন গফ।
টানা চার বছর ইউএস ওপেনের শেষ ষোলোয় উঠলেন গফ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “শুরুর কয়েকটা দিন নিজের উপর চাপ নিয়ে ফেলেছিলাম। ধীরে ধীরে সেটা কাটিয়েছি। এখন খেলা উপভোগ করছি। ভাল একটা ম্যাচ খেললাম। এ বার পরের ম্যাচের প্রস্তুতি নেব।” নিজের দেশে গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলছেন তিনি। ফলে তাঁর ম্যাচ দেখতে গ্যালারি ভরাচ্ছেন দর্শকেরা। যে সমর্থন তিনি পেয়েছেন তার জন্য সকলকে ধন্যবাদ দিয়েছেন গফ। ২০২৩ সালে প্রথম ইউএস ওপেন জিতেছিলেন তিনি। আরও এক বার এই প্রতিযোগিতা জিততে চান গফ।