বিরাট কোহালিদের পরবর্তী কোচের দৌড়কে প্রত্যাশা মতোই জমিয়ে দিলেন রবি শাস্ত্রী। মঙ্গলবারের আনন্দবাজারেই প্রথম প্রকাশিত হয় এই খবর যে, কোচের পদের জন্য আবেদন করবেন শাস্ত্রী। তার পর থেকে সারা ভারতের ক্রিকেট মহলে তীব্র কৌতূহল সৃষ্টি হয় কোহালিদের পরের কোচের পদ নিয়ে। বিকেলের দিকে শাস্ত্রী নিজে একটি ভারতীয় সংবাদপত্রকে জানান, তাঁর আবেদন করার খবর ঠিক।
শাস্ত্রী আবেদন করবেন, এই খবর ছড়িয়ে পড়ামাত্র ক্রিকেট মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়াও শুরু হয়ে যায়। টুইটারে ট্রেন্ডিং হতে থাকেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার। এক দল বলতে থাকে, কোহালির সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক থাকা শাস্ত্রীকেই ফের কোচ করা হোক। যাতে ড্রেসিংরুমের শান্তি বিঘ্নিত না হয়। আঠেরো মাস কোহালিদের প্রাক্তন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করার সময় বেশ ভাল রেকর্ডও ছিল শাস্ত্রীর। সেটাও মনে করিয়ে দেন কেউ কেউ। আবার কারও কারও প্রশ্ন, কুম্বলের জায়গায় নতুন কোচ বাছার সময় কোহালিদের মতকে কেন প্রাধান্য দেওয়া হবে? বোর্ডের উচিত, স্বাধীন ভাবে পরবর্তী কোচ বেছে নেওয়া।
ভারতীয় বোর্ডের অন্দরমহলে এমন অবিন্যস্ত দশা চলছে যে, সত্যিই কোচ নিয়ে কী নীতি নেওয়া হবে, সেটা পরিষ্কার নয়। তবে এটুকু নিশ্চিত যে, ড্রেসিংরুমের শান্তি রক্ষার জন্য উপযুক্ত কাউকে আনার কথাই ভাবা হচ্ছে। এখানে তিনচটি বিভাগ রয়েছে, যাদের মতামত কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এক) সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স, যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন বিনোদ রাই। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, রাইয়ের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে কোহালির দিকে। তিনি মনে করেন, ক্রিকেটারদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারবেন এমন কোচই আনা দরকার। সেক্ষেত্রে কোহালির মত প্রাধান্য পেতে পারে। দুই) বোর্ডের পদাধিকারীরা— এঁদের মনোভাবও অধিনায়কের মতকে গুরুত্ব দেওয়ার দিকে ঝুঁকে রয়েছে। কুম্বলে নিয়ে কর্তাদের সমর্থন পরিষ্কার ভাবেই কোহালির দিকে ছিল। তিন) ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি। যে কমিটিতে রয়েছেন তিন কিংবদন্তি। সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভি ভি এস লক্ষ্মণ। এই কমিটির পুরোপুরি সমর্থন কোহালির দিকে থাকবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কমিটির সকলে কোহালির কথা শুনে কোচ নির্বাচনের পক্ষপাতী নন। শাস্ত্রী-সৌরভ অতীতের বিবাদ এবং বিতর্কের ঘটনাও রয়েছে। এ বার আবার শাস্ত্রী প্রার্থী হলে সৌরভের মনোভাব কী হবে, সেটাও দেখার।
আরও পড়ুন: কোচের প্রক্রিয়ায় খুশি নন সৌরভ