ফের বিচারপতি আর এম লোঢার সুপারিশ নিয়ে ধোঁয়াশা। এমন ধোঁয়াশা, যার পরে প্রশ্ন উঠে পড়ল বঙ্গ ক্রিকেট প্রশাসনেও। প্রশ্ন উঠল, সিএবি-তে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অদূর ভবিষ্যৎ নিয়েও। তবে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে খোদ লোঢা কমিটির সচিব গোপাল শঙ্করনারায়ণন জানিয়ে দিলেন, সৌরভের সিএবি মসনদে থাকা নিয়ে আপাতত কোনও অসুবিধা নেই।
সারা দেশের ক্রিকেট প্রশাসন থেকে নানা কৌতুহলী প্রশ্নের যে সমস্ত ব্যাখ্যা সম্প্রতি দেয় বিচারপতি লোঢা কমিটি, তারই একটা নিয়ে এ দিন প্রশ্ন দেখা দেয় সিএবি-তে। এক নির্দিষ্ট প্রশ্নের (দশ নম্বর প্রশ্ন) উত্তরে শেষ লাইনে লোঢা কমিটি জানায়, ‘‘যে সমস্ত রাজ্য সংস্থায় নির্বাচন রয়েছে, সেই সংস্থাগুলোর বর্তমান শীর্ষকর্তারা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। তাঁদের কুলিং অফ পিরিয়ড শুরু হয়ে যাবে।’’
এর পর প্রশ্ন ওঠে, সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ ও যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া কি তা হলে এ বছর যে যাঁর নিজ পদে বহাল থাকতে পারবেন না? এই ব্যাপারে সৌরভকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি এর কোনও আইনি ব্যাখ্যা দেওয়ার জায়গায় নেই। আমি তো জানি তিন বছর কেউ পদে না থাকলে কুলিং অফ পিরিয়ড শুরু হবে না। বিচারপতি লোঢা এই ব্যাখ্যায় কী বলতে চেয়েছেন জানি না।’’
রাতে লোঢা কমিটির সচিব গোপাল শঙ্করনারায়ণনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘২০১৫ বা ২০১৬-র আগে যাঁরা অন্তত তিন বছর বোর্ড বা রাজ্য সংস্থায় পদে ছিলেন, তাঁদের এ বার কুলিং অফ পিরিয়ডে যেতে হবে। ২০১৫ বা ’১৬-য় যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের এ বার নির্বাচিত হতে কোনও অসুবিধা নেই।’’ কিন্তু ২০১৫ থেকে পদে থাকা কর্তাদের যে আর এক বছর পদে থেকেই কুলিং অফে যেতে হবে, তা মনে করিয়ে দেন তিনি। যার মানে দাঁড়ায়, সৌরভকে ২০১৭-র পর ক্রিকেট প্রশাসকের পদ ছেড়ে তিন বছরের বিশ্রামে যেতে হবে।
লোঢা কমিটির আরও একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাখ্যা হল, একজন ক্রিকেট প্রশাসক রাজ্য সংস্থায় ন’বছর (কুলিং-অফ নিয়ে) পদ সামলানোর পর আরও ন’বছর বোর্ডের পদে থাকতে পারবেন। বোর্ডেও তাঁকে তিন বছর অন্তর তিন বছর করে কুলিং অফে থাকতে হবে। যার অর্থ একজন ক্রিকেট প্রশাসককে সেক্ষেত্রে পাঁচটা কুলিং অফ পিরিয়ড নিয়ে ছ’টা টার্মে কাজ করতে হবে। তার প্রশাসক জীবন হবে ৩৩ বছরের। যা শুনে ক্রিকেট কর্তারা অনেকেই বলছেন, এটা কখনওই বাস্তবসম্মত নয়। এক কর্তা তো আবার প্রশ্ন তুলে দিলেন, ‘‘ন’বছর রাজ্য সংস্থায় থাকার পদ সামলানোর পর রাজ্য সংস্থা তাকে বোর্ডের পদের জন্য মনোনীতই বা করবে কেন?’’