অস্ট্রেলিয়া ও বিরাট কোহালির যুদ্ধ কি আদৌ থামবে?
শনিবার অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অনেকটা কোহালির মতোই ডাইভ দিয়ে বাউন্ডারি বাঁচানোর পরে হাসিমুখে কাঁধে হাত ঘষতে ঘষতে মাঠে ফিরে যান। এই দৃশ্য টিভিতে ভেসে ওঠার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় ওঠে। রবিবার একই ভঙ্গিতে অস্ট্রেলিয়াকে জবাব দিলেন ভারত অধিনায়ক। বিকেলে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে রবীন্দ্র জাডেজার বলে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারের স্টাম্প ছিটকে যেতেই উল্লাস শুরু হয়ে যায় ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে। কাঁধে চোট নিয়েও রবিবার কোহালি মাঠে নেমেছিলেন। ওয়ার্নার যখন ফিরে যাচ্ছেন, তখন কোহালিকে দেখা যায় ম্যাক্সওয়েলের মতোই কাঁধে হাত ঘষছেন।
অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াও কোহালির এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে ফের বিতর্ক উস্কে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে। যদিও আগের দিন সে দেশের মিডিয়াই অযথা স্টিভ স্মিথের একটা বিকৃত ছবি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। পরে আসল ছবি প্রকাশ হয়ে যাওয়ায় সেই বিতর্ক থেমে যায়। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের ঘটনা নিয়ে বাদানুবাদ চলতেই থাকে। রবিবার কোহালি সেই বিতর্কের আগুনে ফের ঘি ঢাললেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার রিভিউ আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ার পরে বিরাট ড্রেসিংরুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছিলেন বলে আপত্তি জানায় সে দেশের মিডিয়া। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার ডিআরএস আবেদন যতবার নাকচ হয়েছে, ততবার বিরাটকে একই ভাবে বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে দেখা গিয়েছে।
চতুর্থ দিনও মাঠেও দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে কথা কাটাকাটি চলেছে। প্যাট কামিন্স ও জস হেজেলউড— দু’জনেই চেতেশ্বর পূজারা ও ঋদ্ধিমান সাহাকে স্লেজ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ব্যাপারে ঋদ্ধিকে সাংবাদিক বৈঠকে জিজ্ঞাসা করা হলে ভারতীয় দলের উইকেটকিপার বলেন, ‘‘সব সময়ই অল্পস্বল্প কথা কাটাকাটি হয়ে থাকে। পূজির রান যখন ১৮০ মতো তখন ও হেজেলউডকে বলে স্কোরবোর্ডটা একবার দেখে নাও। আমাকেও ওরা কিছু বলে। আমি পাল্টা জবাব দিই, যাও গিয়ে বল করো। এর চেয়ে বেশি কিছু হয়নি।’’
সোমবার ভারতের টেস্ট জয়ের জন্য দরকার আট উইকেট। স্মিথ-ম্যাক্সওয়েলরা আবার ব্যাট করতেও নামবেন। টেস্টের শেষ দিনে ফের নতুন কোনও নাটক শুরু হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।