আজ, বৃহস্পতিবার জগমোহন ডালমিয়ার শহরে ঢুকে পড়ছেন নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। উদ্দেশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে যোগ দেওয়া।
কিন্তু শুক্রবার এই বৈঠকে শ্রীনিবাসনকে আদৌ ঢুকতে দেবেন কি বোর্ড প্রেসিডেন্ট ডালমিয়া?
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিচারপতি লোঢা কমিশনের পুরো রিপোর্টই এখনও প্রকাশিত হয়নি। শ্রীনি ক্লিন চিট পেয়ে গিয়েছেন, আইনত এমন দাবিও কেউ করতে পারেন না। এই অবস্থায় তিনি কী করে বোর্ডের এই বৈঠকে থাকতে পারবেন, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বোর্ডের একাংশে।
এ বছর ৮ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের সভায় শেষ বার যোগ দিয়েছিলেন শ্রীনিবাসন। তার পর থেকে আর তিনি বোর্ডের সভায় থাকেননি। টিএনসিএ-র এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘লোঢা কমিটির রিপোর্ট এত দিন প্রকাশিত হয়নি বলেই উনি বোর্ডের কোনও সভায় যোগ দেননি। এখন তো সেই রিপোর্ট পেশ হয়ে গিয়েছে। এখন আর ওঁর বোর্ড বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার কোনও আইনি বাধা নেই।’’
এ দিকে ডালমিয়া শিবিরের বক্তব্য, লোঢা কমিশন তাদের পুরো রিপোর্ট এখনও পেশ করেনি। বরং পরবর্তী রিপোর্টে নাকি আরও চাঞ্চল্যকর সব পর্যবেক্ষণ থাকতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। পুরো রিপোর্ট পেশ না হওয়া পর্যন্ত শ্রীনি ক্লিন চিট পেয়ে গিয়েছেন, এমন ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। সে জন্যই তিনি এই বৈঠকে যোগ দিতে আদৌ পারবেন কি না, সে প্রশ্ন উঠতে পারে।
শ্রীনি অবশ্য ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। বৃহস্পতিবার বিকেলেই ব্যক্তিগত বিমানে তিনি শহরে ঢুকে পড়ছেন বলে শোনা গেল। এক মাস পরেই বোর্ডের বার্ষিক সভা। তার আগে তাঁকে নিয়ে বোর্ডে হাওয়া কেমন, মূলত তা যাচাই করতেই তাঁর এখানে আসা বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। শুক্রবারের বৈঠকে তিনি যদি ঢুকেও পড়েন, তা হলে তা হবে তাঁর নৈতিক জয়।
শ্রীনির এই বৈঠকে যোগ দিতে আসার প্রধান উদ্দেশ্য, বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের বোঝানো, তিনি যা করছেন, তা আইন মেনেই করছেন। বোর্ডে কোনও অনৈতিক কাজ তিনি কোনও দিনই করেননি। এখনও করছেন না। এক মাস পর বোর্ডের বার্ষিক সভায় যখন আইসিসি-তে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধির নাম ঠিক হবে, তখন যাতে সবাই তাঁকেই সমর্থন করেন, তার মরিয়া চেষ্টাটা এই সভা থেকেই শুরু করে দেবেন শ্রীনি।
সে জন্য জগমোহন ডালমিয়ার শহরকেই বেছে নিলেন শ্রীনিবাসন।