উরুগুয়ের বিদায়, ব্যর্থ সুয়ারেস

নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পরে টাইব্রেকারের প্রথম শটই সুয়ারেস মারেন পেরু গোলকিপার পেদ্রো দালেসের বুকে। সুয়ারেসের পরে উরুগুয়ের বাকি ফুটবলারেরা গোল করলেও তা কাজে লাগেনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯ ০৪:০৪
Share:

হতাশ: টাইব্রেকারে হারের পর সুয়ারেজ।—ছবি এএফপি।

দলের এক নম্বর তারকা লুইস সুয়ারেসের টাইব্রেকারে পেনাল্টি নষ্ট উরুগুয়েকে ছিটকে দিল কোপা আমেরিকা থেকে। আর সেই ব্যর্থতার মাসুল দিতে হল দলকে। শেষ চারে চলে গেল পেরু। সেমিফাইনালে বুধবার রাতে তাদের প্রতিপক্ষ চিলি।

Advertisement

নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গোলশূন্য থাকার পরে টাইব্রেকারের প্রথম শটই সুয়ারেস মারেন পেরু গোলকিপার পেদ্রো দালেসের বুকে। সুয়ারেসের পরে উরুগুয়ের বাকি ফুটবলারেরা গোল করলেও তা কাজে লাগেনি। পেরুর এডিসন ফ্লোরেস পঞ্চম গোল করার সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় সব আশা। চোখের জল মুছতে মুছতে ড্রেসিংরুমের রাস্তা ধরেন উরুগুয়ের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সতীর্থদের সঙ্গে জয়ের উল্লাসে ভাসতে ভাসতে ড্রেসিংরুমে ফিরে এডিসন বলে দেন, ‘‘সুয়ারেসের জন্য খারাপ লাগছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কিকটা মিস করল। কিন্তু এটাই যে ফুটবল এবং এটাই জীবন।’’

গোড়ালির চোট সারিয়ে পুরো ফিট হয়ে কোপায় নেমেছিলেন সুয়ারেস। কিন্তু উরুগুয়ের তারকা ফুটবলারের দিনটি একেবারেই ভাল ছিল না। তাঁর একটি গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। আরও কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। ম্যাচের পর সুয়ারেস বলেছেন, ‘‘কেউ কখনও জেতে, কখনও হারে। আমরা এর আগে কোপায় জিতেছি। আজ পারলাম না।’’ শুধু সুয়ারেসই নন। এদিনসন কাভানি এবং জিয়োর্জিয়ান দা অ্যারোস্টোকেটও সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। অথবা ‘ভার’ তাঁদের গোল অফসাইডের জন্য বাতিল করে। ম্যাচের আগে উরুগুয়েকেই ফেভারিট ধরা হচ্ছিল। সেটা যে পেরুকে আরও তাতিয়ে দিয়েছিল, সেটা ম্যাচের পর ফুটে উঠেছে ফুটবলারদের কথাবার্তায়। পেনাল্টি কিকে গোল করার পর পাওলো গুইরিরো বলেছেন, ‘‘দেশের জন্য গোলটা করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম শেষ পেনাল্টিটা গোল হওয়ার পরে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement