গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
আরও একটি সিরিজ়ে লজ্জার চুনকাম হয়েছে ভারতের। এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে দুই টেস্টই হেরেছেন গৌতম গম্ভীরেরা। তবে আপাতত লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিরতি। সামনে এখন শুধুই সাদা বলের ক্রিকেট। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও তার পর নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে ভারতীয় দল। আবার কবে টেস্ট খেলতে নামবেন ঋষভ পন্থেরা?
২০২৫ সালে এটিই ছিল ভারতের শেষ টেস্ট সিরিজ়। গত পাঁচ মাসে ভারত চারটি টেস্ট খেলেছে। এর পর আবার ২০২৬ সালের অগস্ট মাসে ভারতের টেস্ট সিরিজ় রয়েছে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে হবে সেই খেলা। সেই সিরিজ়ের সূচি এখনও ঘোষিত হয়নি। তবে অগস্টেই হবে খেলা। অর্থাৎ, আগামী আট মাস টেস্ট খেলবে না ভারত।
এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিনটি এক দিনের ম্যাচ ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত। তার পর নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি এক দিনের ম্যাচ ও পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। ফেব্রুয়ারি মাসে রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটিও হবে ভারতের মাটিতেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আইপিএল রয়েছে। এই সব প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পর আবার লাল বলের ক্রিকেটে ফিরবে ভারত।
গুয়াহাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪০৮ রানে হেরেছে ভারত। টেস্ট ক্রিকেটে রানের নিরিখে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০০৪ সালের। সে বার নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৪২ রানে হেরেছিল তারা। জেসন গিলেসপি এবং গ্লেন ম্যাকগ্রার বোলিংয়ের সামনে দুই ইনিংসেই গুটিয়ে গিয়েছিল ভারত।
শুধু এটাই নয়, আরও কিছু লজ্জার নজির গড়েছে ভারত। পর পর দু’বছর ঘরের মাঠে ভারতের টেস্ট সিরিজ় হারার ঘটনা এই নিয়ে মাত্র তৃতীয় বার হল। তার মধ্যে ২০১২-২০২৪, টানা ১২ বছর ভারত ঘরের মাঠে কোনও টেস্ট সিরিজ় হারেনি।
২৫ বছর পর প্রথম বার দুই মরসুম মিলিয়ে পাঁচটি টেস্টে হারল ভারত। গত বছর তারা নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে তিনটি টেস্টেই হেরেছিল। এ ছাড়া, ৬৬ বছর পর সাত মাসের ব্যবধানে ভারত দেশের মাটিতে পাঁচটি টেস্টে হারল।