অনুশীলনে সৌরভের (ডান দিকে) সঙ্গে আকাশদীপ। ছবি: সমাজমাধ্যম।
আগামী বুধবার থেকে উত্তরাখন্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ রঞ্জি ট্রফি অভিযান শুরু হচ্ছে বাংলার। সেই ম্যাচে খেলবেন আকাশদীপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সিরিজ়ে খেলতে না পারলেও ভারতের মাটিতে পরবর্তী টেস্ট সিরিজ়ে খেলাই লক্ষ্য তাঁর। উত্তেজিত হয়ে রয়েছেন মহম্মদ শামির সঙ্গে প্রথম বার বল করতে পারবেন ভেবে। মরসুম শুরুর আগে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বাংলার জোরে বোলার।
শামির সঙ্গে খেলা
এই প্রথম বার শামি ভাইয়ের সঙ্গে খেলব। আগে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। খেলার পর বুঝতে পারব কেমন অনুভূতি হচ্ছে। শামির মতো বড় ক্রিকেটারের সঙ্গে খেললে অনেক কিছু শেখার সুযোগ থাকে। ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার সময়টাকে যে ভাবে কাজে লাগাচ্ছে, যে ভাবে নিজেকে তৈরি করছে সেটা দেখার মতো। খেলার সময়ে যে সব ছোটখাটো জিনিস ঘটবে সেগুলোও মন দিয়ে শিখব।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়
আমি আগে থেকে কিছু ভেবে খেলতে নামি না। আগেও করিনি, এখনও করব না। যেটা আমার শক্তি সেটাই করব। ফলাফল আমাদের হাতে নেই। তবে পরিশ্রম, দায়বদ্ধতা আমাদের হাতে রয়েছে। সেগুলো নিয়েই খাটব। বাকি যা হবে দেখা যাবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সিরিজ়ে বাদ
ইংল্যান্ড সিরিজ়ে আমি চোট পেয়েছিলাম। ক্রিকেট থেকে এক-দেড় মাস দূরে থাকার পর হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা কঠিন। তাই আমার কাছে ইরানি কাপ, রঞ্জি ট্রফি খেলাটা জরুরি ছিল। রিহ্যাবের জন্য দু’মাস দূরে থেকে আচমকা ভারতের হয়ে খেলা মুশকিল।
বাংলার পেস আক্রমণ
বাংলার পেস আক্রমণ ভাল, এটা নিজের মুখে বলব না। তবে বাকি রাজ্যগুলোতে এটা নিয়ে কথা হয়। বরাবরই আমাদের পেস আক্রমণ ভাল। ইতিহাস সে কথাই বলে। এক সময় তিন-চার জন ভাল বোলার থাকত এক দলে। অন্য রাজ্যে বড় জোর দু’জন ভাল বোলার থাকে। আমাদের এখানে অনেক দিন ধরে জোরে বোলিংয়ে জোর দেওয়া হয়। এটা আমাদের বাড়তি সুবিধা।
প্রত্যাশার চাপ
এটা নিয়ে বেশি ভাবি না। ক্রিকেট অতটা সহজ নয়, সে আন্তর্জাতিক হোক বা ঘরোয়া। এটুকু জানি, দেশের হয়ে খেলে আসার পর একটা প্রত্যাশা থাকে। যে দলের হয়েই খেলো, দায়িত্ব নিয়ে খেলার কথা মাথায় রাখতে হয়। আমি যেটা করে আসছি সেটাই করছি। আগে বাংলার হয়ে খেলে তার পরেই ভারতের হয়ে খেলেছি। তাই এমন নয় এখানে এসে নতুন কিছু করে দেখাতে হবে আমাকে।
রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন
রঞ্জি হারানোর স্বপ্ন আমার থেকে ভাল কে বেশি জানে! দু’বার কাছাকাছি গিয়েও জিততে পারিনি। তাই বাংলার হয়ে রঞ্জি জয় আমার স্বপ্ন। হৃদয়ে সেটা রয়েছে। যে ভাবে ক্রিকেটকে এখানকার লোক ভালবাসে, যে ভাবে সম্মান দেয় তাতে সমর্থকদের ট্রফিটা প্রাপ্য।
সৌরভের পরামর্শ
সৌরভ স্যর সব সময়ে অনুপ্রাণিত করেন। অনেক সহজ ভাবে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে দেন। খালি বলেন, নিজের পদ্ধতির উপর জোর দাও। পরিশ্রম করো। বাকি কিছু ভেবো না। এটা অনেক বড় ব্যাপার।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার বাংলার ক্রিকেটারদের দীর্ঘক্ষণ পরামর্শ দিয়েছেন। পিচ দেখেছেন। ড্রেসিংরুমে সকলের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সৌরভ মনে করেন, বাংলার এই পেস বোলিং দেশের অন্যতম সেরা। তিনি এ দিন বলছিলেন, ‘‘আকাশ আছে, শামি আছে। সূরজ সিন্ধু জায়সওয়াল ভাল বল করছে। মুকেশ ফিট হলে ও দলে ঢুকবে। দেশের অন্যতম সেরা পেস বিভাগ।’’