Vijay Shankar

‘জল বইতে পারব না’, ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ্য ছাড়লেন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন অধিনায়ক বিজয় শঙ্কর

আগামী মরসুমে ত্রিপুরার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজয় শঙ্কর। তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র পেয়ে গিয়েছেন। ত্রিপুরার হয়ে খেলবেন হনুমা বিহারীও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৫ ১৬:২১
Share:

বিজয় শঙ্কর। ছবি: বিসিসিআই।

আসন্ন মরসুমে ত্রিপুরার হয়ে রঞ্জি ট্রফি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজয় শঙ্কর। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত ক্রিকেটমহল। শঙ্কর ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছেন, বাধ্য হয়ে তাঁকে রাজ্য ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

Advertisement

ভারতের হয়ে ১২টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ৩৪ বছরের অলরাউন্ডারের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০১২ সালে। ১৪ বছর নিজের রাজ্যের হয়ে খেলার পর দল বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তামিলনাড়ুর প্রাক্তন অধিনায়কের অভিযোগ, নিজের রাজ্যে অপমানিত হতে হচ্ছিল তাঁকে। সে কারণেই ত্রিপুরার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শঙ্কর বলেছেন, ‘‘কখনও কখনও বাধ্য হয়ে আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত জীবনে এগিয়ে যাওয়া। সুযোগ খুঁজে নেওয়া। আমার মনে হয়, এখনও ভালই খেলছি। আরও গুরুত্বপূর্ণ হল আমি ধারাবাহিক ভাবে খেলতে চাই। মাঠে জল বওয়া আমার কাজ হতে পারে না। এত বছর ধরে খেলার পর এই কাজটা করা আমার পক্ষে কঠিন।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘গত বছর রঞ্জির প্রথম দুটো ম্যাচের দলে আমাকে রাখা হয়নি। তার পর নেওয়া হয়। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। শেষ দুটো ম্যাচে আমাকে বসিয়ে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়, যথেষ্ট হয়েছে। কিছু জিনিস পরিষ্কার হওয়া দরকার। আমাকে পরিষ্কার করে কিছুই জানানো হচ্ছে না।’’ শঙ্করের দাবি, অনেকের থেকে ভাল পারফর্ম করার পরও তাঁকে অজ্ঞাত কারণে বার বার দল থেকে বাদ পড়তে হচ্ছে।

Advertisement

শঙ্কর বলেছেন, ‘‘দলে থাকব কি না, সেটাই বুঝতে পারি না। একটা সময় মনে হল, এ বার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তবে কোচকে ধন্যবাদ দেব। তিনি অন্তত আমাকে বলেছেন, দল নিয়ে কী পরিকল্পনা করছেন। কোন ক্রিকেটারেরা তাঁর পরিকল্পনায় রয়েছে। তার পর মনে হল, এখানে পড়ে থাকার আর কোনও অর্থ হয় না। কারণ, এখানে আমার খেলার সুযোগ পাওয়া কঠিন।’’

শঙ্করের অভিযোগ, বার বার তাঁর ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করা হয়েছে। তিন থেকে সাত নম্বর জায়গায় ব্যাট করানো হয়েছে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। তাতে প্রভাব পড়েছে তাঁর পারফরম্যান্সে। তিনি বলেছেন, ‘‘একমাত্র ২০২২ সালে নির্দিষ্ট একটা জায়গায় ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছি। সব ম্যাচে ছয় নম্বরে ব্যাট করেছিলাম। পর পর তিনটে ম্যাচে শতরান করেছিলাম। তার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় খেলানো হয়েছে আমাকে। কেন এরকম করা হয়েছে, তার কোনও ব্যাখ্যা আমাকে দেওয়া হয়নি। তবে এটা আমাকে আরও ভাল ক্রিকেটার হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। মানসিক ভাবে আরও কঠিন করেছে।’’

গত মরসুমে ১৭১ বলে ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন শঙ্কর। যা তাঁর ক্রিকেটজীবনের সেরা ইনিংস। তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার কাছ থেকে ত্রিপুরায় যাওয়ার অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন। শুধু তিনিই নন। আসন্ন মরসুমে ত্রিপুরার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় দলের আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার হনুমা বিহারীও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement