আন্দ্রে রাসেল। — ফাইল চিত্র।
ক্রিকেটার হিসাবে আইপিএলের সঙ্গে ১৩ বছরের সম্পর্ক শেষ হয়েছে আন্দ্রে রাসেলের। সম্প্রতি তিনি অবসর নিয়েছেন। একই সঙ্গে কেকেআরের পাওয়ার কোচ হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। আইপিএলের অবসর নিয়ে অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের প্রাক্তন ক্রিকেটার। পাশাপাশি, কেকেআরের হয়ে খেলা সেরা ম্যাচের কথাও বলেছেন।
রাসেল জানতেন নিলামে উঠলে তাঁকে নিয়ে কাড়াকাড়ি হবে। তবু কেকেআরের সাপোর্ট স্টাফ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর উপার্জন হয়তো অনেকটাই কম হবে। তবু রাসেল চেয়েছেন, ফর্মের শীর্ষে থাকাকালীন অবসর নিতে।
‘ক্রিকবাজ়’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাসেল বলেছেন, “উসেইন বোল্টের উদাহরণ দেখুন। বা এবি ডিভিলিয়ার্স। ওরা খেলার শীর্ষে থাকতে থাকতেই বুটজোড়া তুলে রেখেছে। অনেক সমর্থকই জিজ্ঞাসা করেছেন, ‘কেন’? আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়েও ভেবেছি, এই মুহূর্তে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এটাই সেরা সময়। এমন নয় যে সব ইচ্ছা শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটা ছাপ রেখে যেতে চেয়েছিলাম।”
রাসেলের সংযোজন, “আমি বিশ্বাস করি এমন সময়ে অবসর নেওয়া উচিত যখন সমর্থকেরা জিজ্ঞাসা করবে, ‘কেন’? এমন সময়ে অবসর নিতে চাইনি যখন ওঁরাই বলবে, ‘তোমার আরও তিন-চার বছর আগে অবসর নেওয়া উচিত ছিল’।”
আইপিএল কেরিয়ারে রাসেল ২৬৫১ রান করেছেন এবং ১২৩টি উইকেট নিয়েছেন। ‘পাওয়ার কোচ’ হওয়ার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই কোচের কাজ কী? রাসেলের জবাব, “বেঙ্কি মাইসোরের থেকে এই নামটা শুনে আমি নিজেও প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। তার পর ভাবছিলাম, এই নামটা দ্রে রাসের সঙ্গে নিখুঁত ভাবে যায়। কারণ মাঠে সারাজীবন এই কাজই করে এসেছি। শট মারার সময় যে শক্তি শরীরে আনি, ফিল্ডিংয়ের সময় বা বোলিংয়ের সময় যে স্ফূর্তি থাকে, তার সঙ্গে নামটা মানানসই। যে কোনও বিভাগে কেকেআরকে সাহায্য করার জন্য তৈরি। জিম, ফিটনেস হোক বা যা খুশি।”
কেকেআরের হয়ে খেলা সেরা ম্যাচের কথাও বলেছেন রাসেল। এমন ম্যাচ যা নিয়ে খুব বেশি চর্চা হয়নি। রাসেলের কথায়, “২০১৬-এ এক বার বিমান মিস্ করার কথা মনে পড়ছে। তার জন্য মায়ামিতে বাড়তি এক-দু’দিন থাকতে হয়েছিল। কলকাতায় ম্যাচের দিন সকালে পৌঁছেছিলাম। শহরে নেমে সোজা হোটেলে গিয়ে দু’ঘণ্টা বিশ্রাম নিই। এক ঘণ্টা ঘুমোই। তার পর দলের বৈঠকে যাই। সবাই জিজ্ঞাসা করছিল আমি খেলতে পারব কি না। আমি ওদের বললাম, একদম ঠিক আছি।”
সেই ম্যাচে রাসেল তিনটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৬০ রান করেন। রাসেলের কথায়, “ওই খেলা দেখার পর সবাই আমায় বলছিল, ‘তুমি মানুষ নও। তুমি সুপারহিউম্যান’। অনেকেই হয়তো মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ত। আমার কাছে ওটা বিশেষ অনুভূতি ছিল।”