গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বিরাট কোহলির প্রিয় মাঠগুলির অন্যতম অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি)। এই মাঠে কোহলির সাফল্যও কম নয়। সেখানেই ২০২৭ সালে হবে টেস্ট ক্রিকেটের সার্ধশতবর্ষের ম্যাচ। অথচ ভারতই খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। টেস্টের ১৫০ বছর পূর্তিতে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। বিশেষ এই ম্যাচ হবে হবে দিন-রাতের টেস্ট। গোলাপি বলে খেলবে দু’দল।
মেলবোর্নে টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির পরিসংখ্যান ঈর্ষণীয়। অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহ্যবাহী এই মাঠে তিনটি টেস্টের ছ’টি ইনিংসে কোহলির সংগ্রহ ৩১৬ রান। গড় ৫২.৬৬। একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর। মেলবোর্নের ২২ গজে কোহলির সর্বোচ্চ টেস্ট রান ১৬৯। আধুনিক ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয় ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০ বছর উদ্যাপন হবে সেই মাঠেই। অথচ খেলার সুযোগ পাবেন না কোহলি।
১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ থেকে মেলবোর্নেই শুরু হয়েছিল প্রথম টেস্ট ম্যাচ। সেই ম্যাচেও মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচেরই ১৫০ বছর উপলক্ষ্যে আবার মাঠে নামবে দু’দল। ২০২৭ সালের ১১ মার্চ থেকে শুরু হবে দু’দলের পাঁচ দিনের লড়াই। টেস্ট ক্রিকেটের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্যে একটিই টেস্ট হবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও টড গ্রিনবার্গ মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘ক্রিকেটের অন্যতম বড় আসর হতে চলেছে এমসিজিতে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৫০তম বর্ষের ম্যাচটা এমজিসিতেই হবে। খেলা হবে ফ্লাড লাইটে। ক্রিকেটের সমৃদ্ধময় ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন উদ্যাপন করা হবে। বহু মানুষ খেলা দেখতে আসবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।’’ তাঁর আশা, ১৫০তম বার্ষিকীর টেস্ট সারাজীবন মনে রাখার মতো স্মৃতি উপহার দেবে।
এ প্রসঙ্গে শততম বর্ষের ম্যাচের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন গ্রিনবার্গ। তিনি বলেছেন, ‘‘শততম বর্ষের টেস্টও নানা স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছিল। যেমন ডেভিড হুকস টানা পাঁচটি চার মেরেছিলেন টনি গ্রেগকে। ভাঙা চোয়াল নিয়ে ব্যাট করেছিলেন রিক ম্যাকক্সর। দারুণ শতরান করেছিলেন ড্যারেক র্যান্ডাল। ২০২৭ সালের টেস্টও তেমনই কিছু মুহূর্ত উপহার দেবে বলে আমার আশা।’’ উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে এমসিজিতেই হয়েছিল শততম বর্ষের টেস্ট।