দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরানের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: পিটিআই।
তিনটে ইনিংসেই জারি ব্যাটারদের দাপট। গলের উইকেটে কিছুই করতে পারছেন না বোলারেরা। ব্যাটারেরা ভুল না করলে উইকেট পড়ছে না। ক্রিকেট চরম অনিশ্চয়তার খেলা। শেষ বল না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যায় না। কিন্তু যা পরিস্থিতি তাতে খুব অঘটন না ঘটলে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে।
৪ উইকেটে ৩৬৮ রান থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ধনঞ্জয় ডি’সিলভা ও কুশল মেন্ডিস তাড়াতাড়ি আউট হন। দেখে মনে হচ্ছিল, বাংলাদেশের বোলারেরা খেলার রাশ নিজেদের হাতে নেবেন। কিন্তু সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেন কামিন্দু মেন্ডিস ও মিলন রথনায়কে। সপ্তম উইকেটে ৮৪ রানের জুটি হয় তাঁদের মধ্যে। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট ঝুঁকি না নিলে এই পিচে আউট হওয়া কঠিন।
রথনায়কে ৩৯ রানে আউট হওয়ার পর কামিন্দুর কাছে বড় শট খেলা ছাড়া উপায় ছিল না। সেটা করতে নিয়ে নইম হাসানের বলে ৮৭ রানে ফেরেন তিনি। ৪৮৫ রানে শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস। ১০ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। তাদের হয়ে নইম ৫ উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ নেন ৩ উইকেট।
লিড কম থাকায় বাংলাদেশের কাছেও দীর্ঘ সময় ব্যাট করা ছাড়া উপায় ছিল না। প্রথম ইনিংসে রান না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ভাল খেলেন শাদমান ইসলাম। হতাশ করেছেন অপর ওপেনার আনামুল হক। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে চার রান করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের ইনিংস টানেন শাদমান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৭৬ রানে আউট হন শাদমান। চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসে তাঁরা দু’জনের শতরান করেছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভাল খেলছেন তাঁরা। অর্ধশতরান করেছেন শান্ত। চতুর্থ দিনের শেষে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৭৭। বাংলাদেশের থেকে ১৮৭ রানে এগিয়ে তারা। শান্ত ৫৬ ও মুশফিকুর ২২ রানে ব্যাট করছেন।
গলের পিচের যা অবস্থা তাতে অন্তত ৩০০ রানের লিড না নিয়ে ছাড়ার কথা ভাববে না বাংলাদেশ। সেটা করতে এখনও সময় লাগবে। আর মাত্র এক দিনের খেলা বাকি। এই উইকেটে এক দিনে একটা ইনিংস শেষ করা যাচ্ছে না। সেখানে দেড় বা দু’সেশনে প্রতিপক্ষকে অল আউট করা প্রায় অসম্ভব। তাই বলা যেতে পারে এই টেস্ট ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে।