Bangladesh Cricket

বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন বিতর্ক, শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরেই টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়তে পারেন নাজমুল! কেন?

শ্রীলঙ্কা সফরের আগেও নাজমুল হোসেন শান্ত জানতেন, তিনিই এক দিনের এবং টেস্ট দলের অধিনায়ক। সেই মতো কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তার পরে তাঁকে সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৫ ১৯:৫৬
Share:

নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: এক্স (টুইটার)।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবার উত্তাপের আভাস। কয়েক দিন আগে এক দিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক করা হয়েছিল মেহদি হাসান মিরাজকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এই সিদ্ধান্ত নাকি মেনে নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ক্রিকেট কর্তাদের সিদ্ধান্তে হতাশ এবং ক্ষুব্ধ নাজমুল ইস্তফা দিতে পারেন টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে।

Advertisement

নাজমুলের ইস্তফার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি তাঁর পরিকল্পনার কথা ফাঁস করে দিয়েছেন সে দেশের সংবাদমাধ্যমে। বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ় খেলছে। প্রথম টেস্টের দু’ইনিংসেই শতরান করেছেন নাজমুল। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ় শেষ হওয়ার পর নিজের সিদ্ধান্ত বিসিবি কর্তাদের জানিয়ে দিতে পারেন নাজমুল।

বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কাতেই নাজমুলকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, এখনও এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। বোর্ডের কারও সঙ্গে কথা হয়নি। নাজমুল বলেছেন, ‘‘আলোচনা তো আগে থেকেই হচ্ছে। আলোচনা চলুক। এটা নিয়ে কথা বলতে চাইছি না। আপাতত অধিনায়ক এবং ক্রিকেটার হিসাবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট ভাল ভাবে শেষ করতে চাই। এমন সময় এ ধরনের আলোচনা হওয়া উচিত নয়। যত তাড়াতাড়ি এ সব বন্ধ হয়, তত ভাল। আশা করব, পেশাদার ক্রিকেটার হিসাবে সবাই চেষ্টা করবে মাঠে কী ভাবে অবদান রাখতে পারে।’’

Advertisement

নাজমুল স্বীকার বা অস্বীকার করেননি। তবে বিসিবি সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কা সফরের আগে টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন নাজমুল। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনের প্রধান নাজমুল আবেদিন তাঁকে এক দিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর দেন। তা শুনে নাজমুল তাঁকে বলেছিলেন, এক সাজঘরে তিন জন অধিনায়ক থাকা ঠিক নয়। প্রয়োজন মনে হলে শ্রীলঙ্কা সিরিজ়ের পর তাঁকে টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হোক।

চাপ কমানোর জন্য টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন নাজমুল। নিজের ব্যাটিংয়ে মনযোগ দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেন। বিসিবিও তাঁর ইচ্ছায় সম্মতি দিয়ে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করে লিটন দাসকে। তার পর তিন ধরনের ক্রিকেটে তিন জনকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নেন বিসিবি কর্তারা। সেই মতোই এক দিনের ক্রিকেটে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয় মিরাজকে। বোর্ডের এই পরিকল্পনা নাজমুলকে আগাম জানানো হয়নি। এমনকি শ্রীলঙ্কা সফরের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার সময়ও নাজমুল জানতেন, তিনিই এক দিনের দলের অধিনায়ক। সেই মতোই কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। তার পর হঠাৎ তাঁকে ডেকে বোর্ড কর্তারা জানান, এক দিনের ক্রিকেটে আর অধিনায়ক থাকছেন না। যা তাঁর কাছে অপমানজনক মনে হয়েছে।

মিরাজের সঙ্গে তাঁর কোনও সংঘাত নেই বলে জানিয়েছেন নাজমুল। চোট সারিয়ে দ্বিতীয় টেস্টে খেলবেন মিরাজ। যা স্বস্তি দিচ্ছে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককে। তবে শ্রীলঙ্কা থেকে দেশে ফিরেই বিসিবি কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন নাজমুল। বিসিবি দফতরে যেতে পারেন ইস্তফাপত্র নিয়ে। উল্লেখ্য, গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে থেকে বিসিবির সঙ্গে নানা ব্যাপারে মতবিরোধ শুরু হয় নাজমুলের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement