অমিত পাসি। ছবি: এক্স।
বডোদরার হয়ে অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন অমিত পাসি। বিজয় হজারে ট্রফিতে তিনি হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আবার নজর কাড়লেন ব্যাট হাতে। বুধবার ৫০ ওভারের ম্যাচে শতরান করলেন ৬৪ বলে।
কিছু দিন আগেই সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে ১০টি চার এবং ৯টি ছয়ের সাহায্যে ৫৫ বলে ১১৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অমিত। তৃতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শতরান করেছিলেন বডোদরার ওপেনিং ব্যাটার-উইকেটরক্ষক। সেই ইনিংস ‘ফ্লুক’ ছিল না, তা বুধবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে বুধবার তিনি খেললেন ৯৩ বলে ১২৭ রানের ইনিংস। তাঁর ব্যাট থেকে এ দিন এল ১২টি চার এবং ৭টি ছক্কা।
গত সপ্তাহে অসমের বিরুদ্ধে লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে অভিষেক হয়েছে অমিতের। সেই ম্যাচে ৫ বলে ১১ রান করেছিলেন। প্রথম ম্যাচে সফল না হলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করলেন তিনি। নিত্য পাণ্ড্যর সঙ্গে ওপেন করতে নামেন। তাঁদের জুটিতে ওঠে ২৩০ রান। নিত্য করেন ১১০ বলে ১২২। মারেন ১২টি চার এবং ১টি ছয়। তিন নম্বরে নেমে অধিনায়ক ক্রুণাল পাণ্ড্য খেলেন ৬৩ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১৮টি চার এবং ১টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ক্রুণালের সঙ্গে ২২ গজে ছিলেন ভানু পানিয়া। তিনি ২৭ বলে ৪২ রান করেন। ২টি করে চার এবং ছয় মারেন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে বডোদরা করে ৪ উইকেটে ৪১৭ রান। জবাবে হায়দরাবাদের ইনিংস শেষ হয় ৪৯.৫ ওভারে ৩৮০ রানে। হায়দরাবাদের হয়ে লড়াই করেন অভিরথ রেড্ডি এবং প্রজ্ঞান রেড্ডি। অভিরথ করেন ৯০ বলে ১৩০ রান। মারেন ১৮টি চার এবং ২টি ছয়। প্রজ্ঞানের ব্যাট থেকে এসেছে ৯৮ বলে ১১৩ রানের ইনিংস। তিনি ১১টি চার এবং ১টি ছয় মারেন। বডোদরার সফলতম বোলার মহেশ পিথিয়া ৬৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৭৩ রানে ৩ উইকেট অতীত শেঠের।
ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন অমিত। তিনি গত ৮ ডিসেম্বর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিলাল আসিফের বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন। পাকিস্তানের বিলাল ২০১৫ সালে শিয়ালকোট স্ট্যালিয়ন্সের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক ম্যাচে ১১৪ রান করেছিলেন। গত ১০ বছর ধরে অক্ষত তাঁর বিশ্বরেকর্ড। আসিফের সেই বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করেন অমিত।