সূর্যকুমার যাদব। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলে নজর কাড়লেও সূর্যকুমার যাদবের অভিষেক হয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে। ২০১২ সালে মাত্র একটিই ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের হয়ে অভিষেকের আগের রাতে ঘুমোতেই পারেননি। সেই রাতের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
মুম্বইয়ের ছেলে সূর্য যে নিজের দলের হয়েই খেলতে নামছেন, সেটা ভেবে উত্তেজিত ছিলেন তিনি। সূর্য বলেন, “মুম্বইয়ের হয়ে অভিষেকের আগের রাতে ঘুমোতেই পারিনি। ভোর ৪-৫টা পর্যন্ত জেগে বসেছিলাম। খুব উত্তেজিত ছিলাম। মুম্বইয়ের ছেলে হওয়ায় সেই দলের হয়ে প্রথম বার আইপিএলে নামার স্বপ্ন ছিল। সেটা সত্যি হতে যাচ্ছিল। সেই সবই ভাবছিলাম। তাই ঘুম আসছিল না।”
প্রথম বার মাঠে নামার অভিজ্ঞতাও টাটকা রয়েছে সূর্যের মনে। তিনি বলেন, “ওয়াংখেড়ের ওই পরিবেশ আমি ভুলব না। মাঠে নামার আগেই ঘামতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু মনে মনে উত্তেজিত ছিলাম। ভাল খেলতে চাইছিলাম।” তবে শুরুটা ভাল হয়নি সূর্যের। শূন্য রানে আউট হন তিনি। সেই বছরে আর খেলার সুযোগ পাননি সূর্য। ২০১৩ সালে তাঁকে ছেড়ে দেয় মুম্বই। সে বার কোনও দল তাঁকে কেনেনি। ২০১৪ সালে তাঁকে কলকাতা নাইট রাইডার্স নিজেদের দলে নেয়। প্রথম বারই আইপিএল জয়ের স্বাদ পান তিনি।
কেকেআরে ২০১৭ সাল পর্যন্ত খেলেছেন সূর্যকুমার। চার বছরে ৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। করেছেন ৬০৮ রান। তবে কেকেআরের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করতেন তিনি। ফলে বেশি বল পেতেন না খেলার। ২০১৮ সালে আবার মুম্বইয়ে ফেরেন সূর্য। নীতীশ রানাকে কলকাতায় পাঠিয়ে সূর্যকে নেয় মুম্বই। এই দলের হয়ে দু’বার আইপিএল জিতেছেন তিনি।
দ্বিতীয় বার মুম্বইয়ে ফেরার পর থেকে সূর্যের আইপিএল কেরিয়ার বদলে যায়। এই আট বছরে মুম্বইয়ের হয়ে ১০৫টি ম্যাচ খেলেছেন সূর্য। করেছেন ৩৪১৩ রান। কেকেআরের হয়ে মাত্র একটি অর্ধশতরান করেছিলেন তিনি। মুম্বইয়ের হয়ে তিনি ২৬টি অর্ধশতরান ও দু’টি শতরান করেছেন। আইপিএলের পারফরম্যান্সের জেরে ভারতীয় দলে সুযোগ পান সূর্য। সেখানেও নিজের প্রতিভা দেখান তিনি। এখন ভারতের টি-টোয়েন্টি দলেরও অধিনায়ক তিনি। তবে এত বছর পরেও সেই প্রথম দিনের কথা মনে রয়েছে এই ডানহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটারের।