Rahul Dravid

ক্ষোভের পরেই ঘরোয়া ক্রিকেটের হাল ফেরাতে উদ্যোগী বোর্ড, দ্রাবিড়কে রেখে তৈরি হল নতুন কমিটি

রঞ্জি ট্রফির মাঝে একাধিক ক্রিকেটার সূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এ বার ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতিতে এগিয়ে এল বোর্ড। রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে সোমবার তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করা হল। তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে পরামর্শ দেবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪ ২২:১৯
Share:

রাহুল দ্রাবিড়। — ফাইল চিত্র।

রঞ্জি ট্রফির মাঝে একাধিক ক্রিকেটার সূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন বাংলার সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। ম্যাচের সূচিই হল ক্ষোভের আসল কারণ। তার পরেই ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতি এগিয়ে এল বোর্ড। সোমবার তিন সদস্যের কমিটি তৈরি করা হল। তাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে পরামর্শ দেবেন।

Advertisement

তিন সদস্যের কমিটিতে ভারতের কোচ রাহুল দ্রাবিড় ছাড়াও রয়েছেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর এবং জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ। তিন জনে একসঙ্গেই ক্রিকেট খেলেছেন এক সময়। ফলে ফলপ্রসূ কোনও সমাধান বেরোবে বলে আশায় ক্রিকেটমহল।

বোর্ডের এক সদস্য বলেছেন, “ছেলেদের ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন করার সময় অনেক বিষয় উঠে এসেছিল। তার মধ্যে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে উত্তর ভারতে খেলা দেওয়া নিয়ে অনেকে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কারণ সেই ম্যাচগুলো হয় বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল অথবা খারাপ আবহাওয়ার কারণে ম্যাচে বিঘ্ন ঘটেছিল।”

Advertisement

শোনা যাচ্ছে, সোমবার অ্যাপেক্স কমিটির বৈঠকে দ্রাবিড়, লক্ষ্মণ এবং আগরকরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে উন্নতির ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। তার পরে বোর্ডকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন এবং পরবর্তীতে তা চালু করা হবে।

উল্লেখ্য, রঞ্জি ফাইনালের আগে মুম্বইয়ের শার্দূল ঠাকুর বলেছিলেন, ““তিন দিনের ব্যবধানে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে নামা সত্যিই কঠিন। আগে কোনও দিন রঞ্জিতে এ জিনিস হয়নি। সূচি ক্রমশ কঠিন হচ্ছে। যদি আর দুটো মরসুম এ ভাবে খেলা হয়, তা হলে দেশজুড়ে প্রচুর ক্রিকেটার চোট পাবে। পরের বছর থেকে বোর্ডের উচিত এটা দেখা।”

শার্দূল জানিয়েছিলেন, কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতি এ রকম ছিল না। বলেছিলেন, “সাত-আট বছর আগে যখন নিয়মিত রঞ্জিতে খেলতাম তখন প্রথম তিনটে ম্যাচের মাঝে তিন দিনের বিরতি থাকত। তার পর চার দিনের এবং নকআউটে পাঁচ দিনে। এ বছর দেখছি সব ম্যাচেই আগেই তিন দিনের বিরতি। মাত্র তিন দিনের ব্যবধান নিয়ে টানা দশটা ম্যাচ খেলা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই কঠিন। আগে নয় দলের গ্রুপে একটা দল বিশ্রাম পেত। এখন আট দলের গ্রুপ হওয়ায় সেই বিরতিটাও হারিয়ে গিয়েছে।”

অবসরের পর সরব হয়েছিলেন মনোজও। তিনি বলেছিলেন, “কিছু দিন পরেই সূচি নিয়ে বোর্ডের কাছে আবেদন করব। শীতকালে উত্তর-পূর্ব ভারত বা মধ্য ভারতে খেলা না দিয়ে যদি অন্য কোথাও খেলা দেওয়া যায় তা হলে সবার কাছেই ভাল। সবাই জানে শীতকালে ওখানে কুয়াশা থাকে। একটা দল সারা বছর পরিশ্রম করছে ট্রফির জন্য। কুয়াশার জন্য খেলা বাতিল হয়ে যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। একটা দলের প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে এতে। উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে আমাদের জয়ের ভাল রকম সুযোগ ছিল।”

এ ছাড়াও দুই সদস্যের আর একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ আশিস শেলার এবং যুগ্ম সচিব দেবজিৎ সইকিয়া রয়েছেন। দমন ও দিউকে বোর্ডের সহযোগী সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে আলোচনা করবেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন