(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ়ে ভরাডুবির পর বিরাট কোহলির দ্বারস্থ হতে পারেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত তাঁকে বিবেচনা করার অনুরোধ করা হতে পারে। কর্তাদের ভাবনায় রয়েছেন রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পুজারাও। অন্য দিকে, খেলার মধ্যে থাকতে রো-কো’কে বিজয় হজারে ট্রফিতে খেলার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
নিউ জ়িল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকা। এক বছরের মধ্যে ঘরের মাঠে দু’টি টেস্ট সিরিজ়ে চুনকাম হওয়ার লজ্জা সইতে হচ্ছে ভারতকে। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারছেন না তরুণ ক্রিকেটারেরা। পরিস্থিতি দেখে শঙ্কিত বোর্ড কর্তারা। মান বাঁচাতে বিসিসিআই কর্তাদের একাংশ কোহলিকে অবসর ভাঙিয়ে লাল বলের ক্রিকেটে ফেরাতে চাইছেন।
ক্রিকেট সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু দিন আগে অবসর নেওয়া এক ক্রিকেটারকে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরানোর কথা ভাবা হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভরাডুবির পর তাঁকে অবসরের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হতে পারে। ওই প্রতিবেদনে অবশ্য কারও নাম নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
গৌতম গম্ভীর ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পর কোহলি ছাড়াও টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চেতেশ্বর পুজারাও রয়েছেন। অবসর না নিলেও ভারতীয় দলে দীর্ঘদিন ব্রাত্য অজিঙ্ক রাহানে। লাল বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের সাফল্যের নেপথ্যে কারও অবদানই কম নয়। তাই প্রাথমিক ভাবে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বোর্ডের এক কর্তাই পরে নাম না করেও ইঙ্গিতে কোহলির কথা বুঝিয়েছেন। ব্যাটিং নিয়েই তাঁরা বেশি উদ্বিগ্ন। অনুরোধ করা হতে পারে রোহিত এবং পুজারাকেও। যদিও এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিসিসিআইয়ের নতুন নীতি অনুযায়ী, ভারতীয় দলে থাকতে হলে পারফর্ম করতে হবে। খেলতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটেও। কোহলি এবং রোহিতকে তাই বিজয় হজারে ট্রফি খেলার বার্তা দিয়েছেন বিসিসিআই কর্তারা। ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের কথা ভেবেই তাঁদের ঘরোয়া এক দিনের প্রতিযোগিতায় খেলার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বোর্ডকর্তারা চান, দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে যতটা সম্ভব বেশি খেলার মধ্যে রাখতে। যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে ম্যাচ অনুশীলনের অভাবের অভিযোগ না ওঠে।
বিসিসিআই সূত্রে খবর, রোহিত মুম্বইয়ের হয়ে বিজয় হজারেতে খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ের পর তিনি মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। কোহলিও নাকি আপত্তি করেননি। দিল্লির যে ম্যাচগুলি বেঙ্গালুরুতে হবে, সেই ম্যাচগুলিতে খেলতে চান তিনি। তাই আশা করা হচ্ছে, আগামী বিজয় হজারে ট্রফিতে তাঁরা খেলবেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবদনে বলা হয়েছে, ফিটনেস এবং ম্যাচ অনুশীলনের ব্যাপারে কঠোর মানসিকতা নিয়েই চলতে চান প্রধান নির্বাচক। কোহলি এবং রোহিতের ক্ষেত্রেও ছাড়া না দেওয়ার বার্তা বোর্ড কর্তাদের দিয়ে রেখেছেন আগরকর। তাই দুই সিনিয়র ব্যাটারকে আগলে রাখতে চাইছেন বোর্ড কর্তাদের একাংশ।