প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর। — ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টেস্ট সিরিজ়ে চুনকাম হয়েছে ভারতীয় দল। কোচ গৌতম গম্ভীর তো বটেই, হারের পর প্রশ্ন উঠছে ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরকে নিয়েও। কেন তিনি রঞ্জি ট্রফি বা ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ দেখেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আগরকরের অনুপস্থিতির কারণ জানাতে গিয়ে অদ্ভুত যুক্তি দিয়েছেন এক বোর্ডকর্তা।
‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’য় এক কর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ় নিয়ে তাঁরা নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁর কথায়, “টেস্টে এই ফলাফল নিয়ে নিশ্চিত ভাবেই নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলা হবে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট দেখা নিয়ে বলতে পারি, আজকাল সমস্ত স্কোর অ্যাপেই দেখা যায়।”
বিভিন্ন অ্যাপে স্কোর দেখা যায় ঠিকই। কিন্তু মাঠে বসে খেলা দেখার কোনও বিকল্প নেই। কোনও ক্রিকেটার কম রান করলেও হয়তো ক্রিজ় কামড়ে থেকে খেলেছেন। বিপদের সময়ে দলকে উদ্ধার করেছেন। তা স্কোর দেখে কখনওই বোঝা সম্ভব নয়। আবার কোনও ক্রিকেটার প্রচুর রান করলেও বোঝা সম্ভব নয় যে কোন মানের বোলারদের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে তাঁকে। অতীতে নেভিল কার্ডাসও বলেছিলেন, ‘স্কোরবোর্ড একটা গাধা’।
তবে এখন ভারতীয় দল নির্বাচনে স্কোরবোর্ডকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। আইপিএলে ঝুড়ি ঝুড়ি রান করলে বা উইকেট নিলেই তাঁকে জাতীয় দলে নেওয়া হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখ থুবড়ে পড়ছেন সেই ব্যাটার বা বোলার। সাই সুদর্শন, নীতীশ রেড্ডি বা হর্ষিত রানা তাঁরই উদাহরণ। অভিযোগ উঠছে, গম্ভীরের পছন্দের ক্রিকেটার বলেই এঁরা সুযোগ পাচ্ছেন।
আগরকর অবশ্য পুরোপুরি ঘরোয়া ক্রিকেট বর্জন করেননি। শুক্রবার তাঁকে অহমদাবাদে দেখা গিয়েছে। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে কর্নাটক বনাম ঝাড়খণ্ডের ম্যাচ দেখেছেন তিনি।
তবে এত খারাপ ফলাফলের পর একটা বদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সংবাদ সংস্থার খবর, টেস্টে তিন নম্বরে রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে খেলানোর চেষ্টা করা হবে। অতীতে রাহুল দ্রাবিড় বা চেতেশ্বর পুজারা এই জায়গাকে নিজের করে নিয়েছিলেন। পুজারাকে বাদ দেওয়ার পর সাত ব্যাটারকে তিনে খেলানো হলেও কেউ প্রভাব ফেলতে পারেননি।
পাশাপাশি রিঙ্কু সিংহ এবং রজত পাটীদারকেও টেস্টের জন্য ভাবা হচ্ছে। দু’জনকেই মিডল অর্ডারে খেলানো হতে পারে। তার জন্য চলতি মরসুমে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলতে হবে তাঁদের।