India vs South Africa 2025

টেস্টে চুনকামের পর পরীক্ষা শুধু ভারতেরই নয়, অগ্নিপরীক্ষা কোহলি-রোহিতেরও! সিরিজ় শেষেই জানা যাবে দু’জনের ভবিষ্যৎ

শুধু রান করলেই হবে না। প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যাটিং করতে হবে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মাকে। ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ়ের পরই নির্ধারিত হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৪৪
Share:

(বাঁ দিকে) বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ের পর ঠিক হয়ে যেতে পারে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার ভবিষ্যৎ। দু’জনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবন কতটা দীর্ঘ হবে, তা নির্ভর করবে এই সিরিজ়ের পারফরম্যান্সের উপর। কোহলি, রোহিতের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসবেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা।

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ়ের পর ২০২৫ সালে ভারতীয় দলের আর কোনও সূচি নেই। তাই সিরিজ় শেষ হলেই আগামী বছরের পরিকল্পনা করে নিতে চান বিসিসিআই কর্তারা। এক দিনের সিরিজ় শেষ হওয়ার পর কোচ গৌতম গম্ভীর এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের সঙ্গে অহমদাবাদে বৈঠকে বসবেন কর্তারা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়ে যেতে পারে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ।

কোহলি এবং রোহিত ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ খেলতে চান। তাঁদের খেলা নির্ভর করবে পারফরম্যান্সের উপর। বিসিসিআই সূত্রে খবর, তৃতীয় এক দিনের ম্যাচের পর আগামী এক দিনের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব নিয়ে বোর্ড কর্তারা আলোচনায় বসবেন কোচ এবং প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘কোহলি এবং রোহিতের মতো খেলোয়াড়ের থেকে আমরা কী চাই, এটা পরিষ্কার করে দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। টিম ম্যানেজমেন্ট ওদের কোন ভূমিকায় দেখতে চায়, সেটাও জানা প্রয়োজন। কারণ ওদের মতো খেলোয়াড় অনিশ্চয়তা নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা ওদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও জল্পনা চাই না। ফিটনেস এবং পারফরম্যান্সের দিকেই শুধু নজর থাকবে।’’

Advertisement

টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার পর কোহলি এবং রোহিত এখন শুধু এক দিনের ক্রিকেট খেলেন। ফলে তাঁদের খেলার চাপ অনেক কমে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে ফিটনেস ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে মনে করছেন বোর্ড কর্তাদের একাংশ। ওই কর্তা বলেছেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে ওরা রান পেয়েছে। কিন্তু তার আগেই আমরা সিরিজ় হেরে গিয়েছিলাম। তা ছাড়া বোলারেরা প্রথম ইনিংসে ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণে এনে দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম দুটো ম্যাচে কিন্তু কোহলি কিছু করতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে রোহিতও ভাল খেলেনি। দ্বিতীয় ম্যাচেও দারুণ ব্যাট করেনি। প্রতিটি সিরিজ়ে এমন পারফরম্যান্স হলে সমস্যা।’’ রোহিতের থেকেও কোহলির ফর্ম নিয়ে যে বোর্ড কর্তারা বেশি উদ্বিগ্ন, তা-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের ওই কর্তা।

গম্ভীর ওপেনার রোহিতের কাছ থেকে আগ্রাসী ইনিংস চান। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান তুলতে হবে তাঁকে। বিসিসিআই কর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা চাই রোহিত ভয়ডরহীন ব্যাটিং করুক ইনিংসের শুরুতে। মানছি অস্ট্রেলিয়ায় পরিস্থিতি একটু কঠিন ছিল। তবু রোহিতের খেলা দেখে মনে হয়েছে, বেশি ঝুঁকি নিতে চায়নি। একটু সাবধানে খেলার চেষ্টা করেছে। ওদের মতো ক্রিকেটারেরা দলের ব্যাটিংকে নেতৃত্ব দেবে এবং তরুণদের কাজ সহজ করে দেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা ওদের ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেখতে চাই।’’

দুই সিনিয়র ব্যাটারকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ের সময়ই বার্তা দেওয়া হতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবন দীর্ঘ করার স্বার্থে সাবধানে ব্যাট করলে হবে না। দলের স্বার্থে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে হবে। সাদা বলের ক্রিকেটের দাবি অনুযায়ী আগ্রাসী ব্যাটিং করতে হবে। রান তোলার বা রান তাড়া করার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে। ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ় কোহলি এবং রোহিতের জন্য এক রকম অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে। রাঁচি, রায়পুর এবং বিশাখাপত্তনমের ২২ গজে দু’জনকেই নিজেদের পুরনো প্রত্যাশিত ফর্মে উপস্থাপিত করতে হবে। তা হলে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ খেলার দিকে আরও এক পা এগোতে পারবেন তাঁরা। না হলে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরের সিরিজ়ে দলে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement