গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
সোমবার শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই অধিবেশনে আরও সাতটি বিলের সঙ্গে পেশ হওয়ার কথা ন্যাশনাল স্পোর্টস গভর্নেন্স বিল ২০২৫। তার সঙ্গেই পেশ হতে পারে ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং বিলের সংশোধনীও। সংসদের উভয় কক্ষে এই বিল পাশ হওয়ার পর আইনে পরিণত হবে। সূত্রের খবর, নতুন আইনের আওতায় আসবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলির গঠনতন্ত্র আলাদা। আলাদা আলাদা নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত হয় সংস্থাগুলি। সব খেলাকে একই নিয়মে বাঁধার জন্যই আনা হচ্ছে নতুন ক্রীড়া বিল। ২০৩৬ সালে অলিম্পিক্স আয়োজন করতে চায় ভারত। তার আগেই সব খেলাকে একই আইনের আওতায় আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ২০৩২ সালের ব্রিসবেন অলিম্পিক্সে হবে ক্রিকেট। স্বাভাবিক ভাবেই অলিম্পিক্স স্পোর্টসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে ক্রিকেট। তাই বিসিসিআইকেও নতুন আইনের আওতায় নিয়ে আসতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। বহু বছর ধরে বিসিসিআই নিজের মতো চললেও, আর তা হবে না। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, ন্যাশনাল স্পোর্টস বিলের আওতায় থাকবে বিসিসিআইও। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ সাহায্য প্রয়োজন হয় না বিসিসিআইয়ের। অর্থনৈতিক ভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী তারা। কিন্তু অলিম্পিক্সে প্রতিনিধিত্ব করতে হলে, ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএ) আওতায় আসতে হবে বিসিসিআইকে। কারণ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থা ক্রিকেটারদের আইওএর প্রতিনিধি হিসাবেই বিবেচনা করবে।
দেশের খেলাধুলার নিয়ন্ত্রণ হাতে নেওয়ার জন্য এই বিলে ন্যাশনাল স্পোর্টস বোর্ড গঠনের সুপারিশ রয়েছে। বোর্ড গঠনের দায়িত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। এত দিন দেশের সব ক্রীড়া সংস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করত আইওএ। নতুন আইনের বলে সেই ক্ষমতা চলে যাবে স্পোর্টস বোর্ডের কাছে। বিলে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ভাবে অলিম্পিক্স আয়োজন করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকার এবং আইওএর মধ্যে খুব ভাল বোঝাপড়ার প্রয়োজন। স্পোর্টস বোর্ড সেই দায়িত্ব পালন করবে।