মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলে নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন মহম্মদ শামি। তিনি অজিত আগরকরদের বাধ্য করেছেন তাঁকে নিয়ে ভাবতে। আবার ভারতের জার্সি গায়ে খেলতে দেখা যেতে পারে মহম্মদ শামিকে। শেষ বার ৯ মার্চ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলেছিলেন মহম্মদ শামি। তার পর থেকে আর ভারতীয় জার্সিতে দেখা যায়নি তাঁকে। আবার সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে শামির প্রত্যাবর্তন হতে পারে।
ভারতীয় বোর্ডের এক সূত্র জানিয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে শামির পারফরম্যান্সের দিকে নজর ছিল নির্বাচকদের। শামি নজর কেড়েছেন। ওই সূত্র বলেছে, “শামির কথা প্রায়ই আলোচনা হত। ওর ফিটনেস নিয়ে চিন্তা ছিল। শামির মতো বোলারের মান নিয়ে সন্দেহ করার কিছু নেই। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে শামি ফিরতে পারে। ওর উইকেট নেওয়ার দক্ষতা রয়েছে। এমনকি, ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপেও ও খেলতে পারে।”
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি (২৩) উইকেট নিয়েছিলেন শামি। তা-ও শুরুর চারটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তার পরেই চোট পান। দীর্ঘ দিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। ফিরে এসে ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে খেলেন। কিন্তু শামির পারফরম্যান্স পছন্দ হয়নি নির্বাচকদের। ফলে তার পর থেকে আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তিনি। সেই সুযোগ এ বার পেতে পারেন বাংলার পেসার।
নির্বাচক প্রধান আগরকর জানিয়েছিলেন, শামির চোট নিয়ে কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই। তাই অভিজ্ঞ পেসার দলের সুযোগ পাচ্ছেন না। জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় অভিমান হয়েছিল শামির। তিনি প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তাঁর চোট কেমন আছে সেটা বোর্ডকে জানানো তাঁর কাজ নয়। তাঁর সঙ্গে বোর্ডের কোনও কর্তা যোগাযোগ করেননি। তার পর থেকে অবশ্য রঞ্জি ট্রফি, মুস্তাক আলি ট্রফির কিছু ম্যাচে শামির খেলা দেখতে এসেছিলেন জাতীয় নির্বাচকেরা। তাঁদের নজর কেড়েছেন শামি।
বাংলার হয়ে রঞ্জিতে চার ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়েছেন শামি। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে নিয়েছে ১৬ উইকেট। বিজয় হজারের চার ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ৬ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন শামি। তাঁর পারফরম্যান্স ভাল লেগেছে নির্বাচকদের।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে জসপ্রীত বুমরাহকে বিশ্রাম দেওয়া হবে। সেই জায়গায় শামিকে নেওয়া হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, অর্শদীপ সিংহ ও হর্ষিত রানাকে খেলানো হয়েছিল। প্রসিদ্ধের পারফরম্যান্স খুশি করতে পারেনি নির্বাচকদের। ফলে এ বার শামির পালা। নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ে সুযোগ পেয়ে যদি তিনি তা কাজে লাগাতে পারেন, তা হলে আরও এক বার জাতীয় দলে খেলার দৌড়ে এগিয়ে যাবেন তিনি।