Sachin Tendulkar 50th Birthday

৫০-এর সচিন! তেন্ডুলকরের সেরা ৫০টি উক্তি তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন

সচিন শুধু ভারতের একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি আবেগ। গোটা জীবনে বহু কথা বলেছেন। মাস্টার ব্লাস্টারের জন্মদিনে তাঁর সেরা ৫০টি উক্তি তুলে ধরা হল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:১৭
Share:

সোমবার সচিন তেন্ডুলকরের ৫০তম জন্মদিন। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ

সোমবার সচিন তেন্ডুলকরের ৫০তম জন্মদিন। গোটা একটা প্রজন্ম যাঁকে নিয়ে মাতোয়ারা, যাঁকে অন্ধের মতো অনুসরণ করতেন সমর্থকরা, যিনি আউট হলে টিভি বন্ধ করে দিতেন, সেই সচিনের ৫০তম জন্মদিন। সচিন শুধু ভারতের একজন ক্রিকেটার নন, তিনি একটি আবেগ। গোটা জীবনে বহু কথা বলেছেন। আত্মজীবনী লিখেছেন। মাস্টার ব্লাস্টারের জন্মদিনে তাঁর সেরা ৫০টি উক্তি তুলে ধরল আনন্দবাজার অনলাইন।

Advertisement

১) স্বপ্নের পিছনে ধাওয়া কোরো না। কারণ স্বপ্ন সত্যি হয়।

২) লোকে তোমার দিকে পাথর ছুড়বে এবং তুমি সেটাকে মাইলফলকে পরিণত করবে।

Advertisement

৩) আমি কখনও নিজেকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করার চেষ্টা করিনি।

৪) চাপের পরিস্থিতি সামলানোর চাবিকাঠি হল নিজেকে স্থিতধী রাখা, নিজের ক্ষমতার উপর আস্থা রাখা এবং পরিষ্কার ভাবনাচিন্তা করা।

৫) বিশ্বকাপ হল একটা প্রক্রিয়া। আমরা কখনওই এক লাফে ৫০ তলায় উঠতে পারি না। শুরুটা করতে হয় নীচের তলা থাকায়।

৬) আমি হারতে ঘৃণা করি এবং ক্রিকেটই আমার প্রথম প্রেম। মাঠে ঢুকলে আমার চারপাশের পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তখন একটাই লক্ষ্য থাকে, জয়।

৭) সমালোচনা কখনও আমায় ক্রিকেট খেলতে শেখাননি, তাই তাঁরা জানেন না আমার শরীর এবং মনের ক্ষমতা কতটা।

৮) প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব স্টাইল থাকে, নিজের মতো করে মাঠে এবং মাঠের বাইরে উপস্থাপন করার রাস্তা থাকে।

৯) ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আমি কখনও ভাবিনি কত দূর যেতে পারব। নিজের জন্য কোনও লক্ষ্যমাত্রাও রাখিনি।

১০) ক্রিকেটজীবনে আমি কখনও খুব দূরের দিকে তাকাইনি। বরাবর একটা একটা করে বিষয় লক্ষ্য রেখে এগিয়ে গিয়েছি।

১১) স্বপ্নকে ধাওয়া করো। কিন্তু সেটা পূরণ করার জন্য শর্টকাট খুঁজতে যেয়ো না।

১২) বাইশ গজে খুব সাধারণ ভাবে খেলতেই পছন্দ করি। বলটা দেখো এবং তার প্রকৃতি অনুযায়ী চালাও।

১৩) ক্রিকেট খেলার সময় পরিবারের সকলে আমাকে সমর্থন করেছে। শুধু আমার বাবা বরাবর বলতেন, যখনই মাঠে নামব, তখন ফলের চিন্তা না করে নিজের সেরাটা যেন দিই।

১৪) যখন ক্রিকেটের জন্য ভাবনাচিন্তার সময় থাকে, তখন ভাবি। কিন্তু পরিবারের জন্য সময় থাকলে জীবনের সেই বিষয়টাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখি।

১৫) চেষ্টা করা এবং মাঠে নেমে ১০০ শতাংশ দেওয়া সব সময় নিজের হাতেই থাকে।

১৬) জীবনে কোনও সময় পড়ে গেলে উঠে দাঁড়াতে শেখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

১৭) আজ আমি যা, তার জন্যে দায়ী আমার লড়াকু মানসিকতা। ওটাই আমাকে বাকিদের থেকে এগিয়ে রেখেছে।

১৮) জীবনে যে উচ্চতাতেই পৌঁছে যাও না কেন, আরও উন্নতি করার চেষ্টা কখনও থামিয়ো না।

১৯) বছরের পর বছর ক্রিকেট খেলে শিখেছি, যে কোনও চ্যাম্পিয়ন দলের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য স্রেফ একটা সুযোগের দরকার হয়।

২০) ক্রিকেট খেলার সময় কখনও ভাবতে নেই যে এটা কম বা বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ক্রিকেটে সব ম্যাচই সমান।

২১) কোনও ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে নামলে সব সময় ছোট ছোট লক্ষ্যমাত্রা রেখে এগনো উচিত।

২২) ফলাফল যা-ই হোক না কেন, আমি মাঠে নামলে ছ’ঘণ্টা মন দিয়ে ক্রিকেট খেলতে চাই। বাকি যা হবে দেখা যাবে।

২৩) আমি এক জন ক্রীড়াবিদ। রাজনীতিবিদ নই। সারাজীবন ক্রীড়াবিদই থাকব। ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে কোনও দিন রাজনীতিতে ঢুকব না। ক্রিকেটই আমার জীবন।

২৪) ক্রিকেট খেলা শুরুর করার সময়ে একটাই জিনিস ভাবতাম, একদিন ভারতের হয়ে খেলতে হবে। নিজের উপর বিশ্বাস ছিল যে সেটা পারব।

২৫) আমার মতে, কেউ যদি দীর্ঘ দিন ধরে ক্রিকেট খেলেন তা হলে তাঁর একটা নিজস্ব পরিচিতি তৈরি হয়ে যায়।

২৬) আপনি যদি জীবনে কোনও পরিকল্পনা কাজে লাগাতে না পারেন, তা হলে কোনও দিন কিছু করতে পারবেন না।

২৭) শুধু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করাই জীবনের আসল কথা নয়। মাঝে মাঝে চুপচাপ বসে থেকে সময় অনুযায়ী ঝাঁপিয়ে পড়াকেও সাহসিকতা বলে।

২৮) কখনও আমি ব্যর্থ হই। কখনও সফল। যেটাই হোক, তাতেই খুশি হই। অনেকটা প্যাকেজ ডিলের মতো। সাফল্য এবং ব্যর্থতা, দুটোই প্যাকেজে আসে।

২৯) যদি আপনি ভদ্র হন তাহলে ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার পরেও ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা পাবেন। অভিভাবক হিসাবে আমি চাইব লোকে ‘সচিন দারুণ ক্রিকেটার ছিল’র থেকে ‘সচিন খুব ভাল মানুষ ছিল’ বলুক।

৩০) আমি সেই ১১ জন ভাগ্যবান ক্রিকেটারের একজন ছিলাম যে ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলেছে। এই স্বপ্ন কোটি কোটি উঠতি ক্রিকেটার দেখে। তবে সমর্থকদের প্রতি একটা দায়বদ্ধতাও ছিল। ওদের কোনও দিন হতাশ দেখতে চাইনি।

৩১) আগ্রাসন এবং সাবধানতার মধ্যে ব্যবধান খুবই সুক্ষ্ম। দুটো মিশিয়েই ক্রিকেট খেলতে হয়।

৩২) ক্রিকেট খেলতে গিয়ে জীবনে অনেক শিক্ষা পেয়েছি। ক্রিকেট আমাকে শিখিয়েছে কী ভাবে সারাজীবন সৎ থাকতে হয় এবং সততার সঙ্গে খেলতে হয়।

৩৩) যে কোনও বল খেলার জন্যে আমার কাছে ০.৫ সেকেন্ড সময় থাকত। কখনও তার থেকেও কম। তখন কে কী বলেছে আমার নামে সে সব মাথায় থাকত না। আমার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি যা, সেটাই করতাম। তাই কখনও সমালোচনাকে পাত্তা দিইনি।

৩৪) ক্রিকেট যে খেলেছে, সে কেরিয়ার শেষ হওয়ার পরে ক্রিকেট নিয়ে ভাববে না এটা হতে পারে না। এ রকম কোনও মানুষের সঙ্গে আমার অন্তত পরিচয় হয়নি।

৩৫) বাবাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। বাবাকে দেখেই আচরণ, সহবৎ শিখেছি। বাবা শান্ত ছিল। কখনও রাগতে দেখিনি। নিজেও সেটা অনুকরণ করেছি।

৩৬) ভারতে অনেক স্কুলে খেলার মতো মাঠ নেই। আবার অনেক জায়গায় থাকলেও কাজে লাগানো হয় না। আমি চাই না এমন ক্রিকেট বা ফুটবল মাঠ দেখতে যেখানে শুধু গরু চরে।

৩৭) ১৫ বছর বয়স থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকেই টেস্ট ক্রিকেটার হতে চেয়েছিলাম। আমার জীবনে প্রথম লক্ষ্য ছিল ওটাই।

৩৮) ক্রিকেটে ব্যক্তি আক্রমণ করা উচিত নয়। ক্রিকেট দলগত খেলা। তাই যে কোনও ফলাফলের কৃতিত্ব সকলের।

৩৯) ওয়াসিম এবং ওয়াকার আমার জীবনের সেরা দুই জোরে বোলার। যা-ই হোক না কেন, সবার আগে ওদেরই রাখব।

৪০) ব্যাটার হিসাবে আমার বরাবর লক্ষ্য থাকত প্রতিনিয়ত নিজের উন্নতি করা এবং বাকিদের দিকে লক্ষ্য রাখা এবং তাদের থেকেও ভাল ক্রিকেট খেলা।

৪১) কোনও দিন কোনও তুলনায় বিশ্বাস করিনি। বিভিন্ন যুগ, খেলোয়াড় বা কোচ যা-ই হোক না কেন, তুলনা টানা অপছন্দ করতাম।

৪২) জীবনে কখনও রানার নিয়ে খেলিনি। কারণ একমাত্র আমিই জানতাম যে শটটা কত জোরে মেরেছি এবং কত দূর যেতে পারে। আমার রানারের পক্ষে সেটা জানা সম্ভব ছিল না।

৪৩) ক্রিকেটে প্রতিটি যুগের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। সেটা ক্রিকেটার বা কোচ যে-ই হোক না কেন, নিজেদের যুগে তারা সেরা হতেই পারে।

৪৪) আমার কাছে আসল ম্যাচ শুরু হওয়ার অনেক, অনেক আগে ম্যাচ শুরু হয়ে যেত। এতটাই প্রস্তুতি নিতাম এবং মানসিক ভাবে তৈরি হতাম।

৪৫) যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছেই ফোকাস এবং সঠিক মানসিকতা খুব দরকার। নিজের শক্তি অন্যত্র সঞ্চারিত হলে ফলাফলও আপনার অনুকূলে থাকবে না।

৪৬) মনকে বেশি ভাবতে দিলে চলবে না। মন খালি আপনাকে বলবে এটা হতে পারে, ওটা হতে পারে। এটা আউটসুইং হতে পারে, ওটা ইনসুইং হতে পারে। নিজের বিশ্বাসের প্রতি ভরসা রাখতে হবে।

৪৭) জীবন একটা বইয়ের মতো, যার অনেক অধ্যায় রয়েছে। আপনি অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন। সাফল্য এবং ব্যর্থতা পাবেন। কোনটা নেবেন সেটাই আপনার আসল ক্ষমতা।

৪৮) সাফল্য এবং খুশি আপনার শিক্ষক হতে পারে না। আপনি আসল শিক্ষা তখনই পাবেন, যখন আপনি হতাশ এবং ব্যর্থ হবেন।

৪৯) কখন সুইচ অন এবং সুইচ অফ করা দরকার সেটা আমি ভালই জানতাম। বাকি জিনিসগুলো সেই অনুযায়ী আবর্তিত হত। ক্রিকেট থাকত সবার আগে, বাকি সবকিছু পরে।

৫০) আমি আগে কখনও অর্জুনের খেলা দেখতে যাইনি। শুধু চেয়েছিলাম, ও যা করতে চায় স্বাধীন ভাবে করুক। নিজের ইচ্ছা স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করুক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন