ভারতীয় ক্রিকেট দল। —ফাইল চিত্র।
অগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বড় পরিবর্তন হতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটের পরিচালন ব্যবস্থায়। কারণ জানা যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আনা হবে জাতীয় ক্রীড়া নীতির আওতায়।
যদি বোর্ড এই নীতির আওতায় না আসে তাহলে শুভমন গিল-জসপ্রীত বুমরাহেরা আর ভারত নাম নিয়ে খেলতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ভারতীয় ক্রিকেট দলের নাম হয়তো বিসিসিআই হয়ে যাবে। তবে সেই সম্ভাবনা কম। কারণ, বিসিসিআই এই নীতির আওতায় আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে সোমবার। সেখানে পেশ করা হবে জাতীয় ক্রীড়া বিল। ১২ অগস্ট সংসদে এই বিল পাশ হয়ে যেতে পারে। তাহলেই চালু হয়ে যাবে জাতীয় ক্রীড়া নীতি। বিসিসিআই যদি এই নীতির অধীনে চলে আসে তাহলে বদলে যাবে এ দেশে ক্রিকেট পরিচালন ব্যবস্থা।
বিসিসিআই এখন স্বশাসিত সংস্থা। আর্থিক সহায়তার জন্য ভারতীয় বোর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভরশীল নয়। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া নীতির অধীনে এলে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের সব নিয়ম মানতে হবে বোর্ডকে।
দেখে নেওয়া যাক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে নতুন কী কী বদল আসবে।
এক, বোর্ডের সদস্যদের (যাদের ভোটাধিকার আছে) ১০ শতাংশ খেলোয়াড় হতে হবে। এখন বর্তমান বা প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার নেই।
দুই, ন’জনের অ্যাপেক্স কাউন্সিলে চার জন প্রাক্তন ক্রিকেটার রাখতে হবে। এখন দু’জন থাকেন।
তিন, বিসিসিআইয়ের মাথায় থাকবে স্পোর্টস ট্রাইব্যুনাল এবং স্পোর্টস বোর্ড।
চার, বোর্ডের পদে থাকার বয়সসীমা ৭০ থেকে ৭৫ হয়ে যেতে পারে।
পাঁচ, বোর্ডে থাকার মেয়াদ বাড়তে পারে। চার বছর করে দু’বার, অর্থাৎ মোট আট বছর বোর্ডের পদে থাকা যাবে। তবে মাঝে চার বছরের জন্য বোর্ডের পদ থেকে বিরত থাকতে হবে। এখনকার নিয়মে তিন বছর করে দু’বার, অর্থাৎ মোট ছ’বছর বোর্ডের পদে থাকা যায়।
ছয়, সিএসআর-এর সুবিধা পাবে বোর্ড। সেক্ষেত্রে স্পনসরশিপ এবং অনুদান পেতে সুবিধা হবে।