yuzvendra chahal and dhanashree verma

চহল-পর্ব অতীত, আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান ধনশ্রী, বিবাহবিচ্ছেদের পর বার্তা দিলেন এগিয়ে যাওয়ার

যুজবেন্দ্র চহলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। চহলের সঙ্গে আরজে মহওয়াশের ‘প্রেম’ করার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। বসে নেই তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ধনশ্রী বর্মাও। নতুন ভালবাসার খোঁজ করতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২৫ ১২:৪৫
Share:

(বাঁ দিকে) যুজবেন্দ্র চহল। ধনশ্রী বর্মা (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

যুজবেন্দ্র চহলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। চহলের সঙ্গে আরজে মহওয়াশের ‘প্রেম’ করার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। বসে নেই তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী ধনশ্রী বর্মাও। নতুন ভালবাসার খোঁজ করতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই সে কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। জানিয়েছেন আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান।

Advertisement

‘ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ধনশ্রী বলেছেন, “আমরা সকলেই জীবনে ভালবাসা চাই। কে না চায় ভালবাসা পেতে? কখনও সখনও ভালবাসাই আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে আগে নিজেকে ভালবাসা দরকার।”

তিনি আরও বলেছেন, “যদি আমার জীবনে ভাল কিছু লেখা হয়ে থাকে সেটা গ্রহণ করব না কেন? আমার বাবা-মাও চায় আমি প্রেম করি, বন্ধুরাও সেটাই চায়। কে ভালবাসা চায় না? আমরা সকলেই ভালবাসার জন্য ক্ষুধার্ত।”

Advertisement

এ দিকে, বিবাহবিচ্ছেদের দিন চহলের টি-শার্টের বার্তা নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিয়েছেন ধনশ্রী। বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শেষ শুনানির দিন চহলের কালো টি-শার্টে সাদা রঙে লেখা ছিল, ‘‘নিজেই নিজের সুগার ড্যাডি হও।’’ চহলের টি-শার্টের লেখা ইঙ্গিতপূর্ণ ছিল। প্রাক্তন স্ত্রীর উদ্দেশে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। চহল হয়তো প্রাক্তন স্ত্রীকে বলতে চেয়েছিলেন, নিজের আর্থিক ব্যবস্থা নিজেই করে নাও।

ধনশ্রী তা নিয়ে বলেছেন, “আপনি জানেন যে লোকে আপনারই দোষ দেখবে। টিশার্ট নিয়ে এই কেরামতি দেখানোর আগেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে সকলে মিলে আমাকে দোষী বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আরে ভাই, একটা হোয়াটস্‌অ্যাপ করে দিতে পারতে। টিশার্ট পরার কী দরকার ছিল?”

উল্লেখ্য, টি-শার্টের বার্তা নিয়ে ভারতীয় দলের লেগ স্পিনার বলেছিলেন, ‘‘বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে কোনও নাটক করতে চাইনি। আমি শুধু একটা বার্তা দিতে চেয়েছিলাম। সেটাই দিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘উল্টো দিক থেকে অনেক কিছু বলা হচ্ছিল। প্রথম দিকে কোনও উত্তর দিতে চাইনি। কিন্তু থামার কোনও লক্ষণ দেখছিলাম না। একটা সময় মনে হয়, যথেষ্ট হয়েছে। আমার আর কাউকে নিয়ে ভাবার দরকার নেই। কাউকে দোষারোপ করতে চাইনি। শুধু একটা বার্তা দিতে চেয়েছি।’’ চহল সরাসরি না বললেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, খোরপোশ নিয়ে ধনশ্রীর অযৌক্তিক দাবিতে তিনি বিরক্ত।

বিবাহবিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার দিক কেঁদে ফেলেছিলেন বলে জানিয়েছেন ধনশ্রী। তাঁর কথায়, “সিদ্ধান্ত হব হব করছিল। আমি দাঁড়িয়েছিলাম এক পাশে। আগে থেকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম। তবু আবেগপ্রবণ হয়ে যাই এবং সবার সামনে চিৎকার করে কাঁদতে থাকি। সেই মুহূর্তে কী চলছিল বলে বোঝাতে পারব না। শুধু কাঁদছিলাম আর চিৎকার করছিলাম।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement