কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স। — ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় এগিয়ে আসছে। আগামী বছর ভারত এবং শ্রীলঙ্কা যৌথ ভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে। তবে কোন কোন মাঠে খেলা হবে তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কোথাও বলা হচ্ছে অহমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচ হবে। আবার কোথাও কোথাও অন্য মাঠের নাম উঠে আসছে।
‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, উদ্বোধনী ম্যাচ এবং ফাইনাল হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে অহমদাবাদ। পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে ফাইনাল হবে কলম্বোয়। সেমিফাইনাল পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স এবং মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে পারে প্রতিযোগিতা। শেষ হবে ৮ মার্চ। উল্লেখ্য, ২০২৩ এক দিনের বিশ্বকাপেও উদ্বোধনী ম্যাচ এবং ফাইনাল হয়েছিল অহমদাবাদে।
যদি ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় সেই ম্যাচটি হবে কলম্বোয়। অপর সেমিফাইনালটি হবে মুম্বইয়ে। বিশ্বকাপের জন্য ইতিমধ্যেই আটটি মাঠ চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে। ভারতের মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা এবং অহমদাবাদে ম্যাচ হবে। ভারত প্রতিটি শহরেই খেলবে। শ্রীলঙ্কায় প্রেমদাসা স্টেডিয়াম, পাল্লেকেলে এবং ডাম্বুলা ও হামবানটোটার মধ্যে একটি স্টেডিয়ামে খেলা হবে।
প্রস্তুতি ম্যাচ কোথায় হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। বোর্ড সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুতে কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ হতে পারে।
‘ক্রিকবাজ়’ ওয়েবসাইটও জানিয়েছে, ইডেনে একটি সেমিফাইনাল হতে পারে। তাদের খবর অনুযায়ী, অপর সেমিফাইনালটি হবে অহমদাবাদে। ফাইনাল কোথায় হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কারণ ফাইনালে যদি পাকিস্তান ওঠে তা হলে অন্য দেশে, না হলে সেই ম্যাচ ভারতে হবে।
শ্রীলঙ্কা যদি সেমিফাইনালে ওঠে, তা হলে তারা কলম্বোয় খেলার সুযোগ পেতে পারে। একই কথা প্রযোজ্য পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও। যদি এই দুই দেশের কেউই শেষ চারে না ওঠে, তা হলে দু’টি সেমিফাইনালই হবে ভারতে।
গত বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যে ফরম্যাটে খেলা হয়েছিল, পরের বারও সেই ফরম্যাটে খেলা হওয়ার সম্ভাবনা। অর্থাৎ ২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। অর্থাৎ প্রতিটি গ্রুপে থাকবে পাঁচটি দেশ, যারা একে অপরের বিরুদ্ধে এক বার করে খেলবে। এর পর ‘সুপার এইট’ আয়োজন করা হবে। যেখানে চারটি দেশের দু’টি গ্রুপ হবে। সেখানেও দেশগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে এক বার করে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষে থাকা দু’টি দেশ সেমিফাইনালে খেলবে।