ক্রিস ওকস। ছবি: রয়টার্স।
দু’বার উইকেট পেতে পারতেন ক্রিস ওকস। কিন্তু দু’বারই আউট দেননি বাংলাদেশের আম্পায়ার সৈকত। রিভিউয়ের পর দেখা যায়, ‘আম্পায়ার্স কল’ বাঁচিয়ে দিয়েছে ব্যাটারদের। এই সিদ্ধান্তে খুশি নন ওকস। ফলে ক্রিকেটের নিয়ম বদলের দাবি জানিয়েছেন ইংরেজ পেসার।
প্রথমে ওকসের বলে যশস্বী জয়সওয়াল এলবিডব্লিউ হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান। রিপ্লে-তে দেখা যায়, বল স্টাম্পের উপরের অংশে লাগছে। আম্পায়ার্স কলে বাঁচেন যশস্বী। একই জিনিস দেখা যায় করুণ নায়ারের ক্ষেত্রেও। যশস্বী ৮৭ করে যান। নায়ার করেন ৩১।
বিশেষ করে করুণের সিদ্ধান্তে বিরক্ত ওকস। খেলা শেষে তিনি বলেন, “রিভিউ আসায় বোলারদের অনেক সুবিধা হয়েছে। কিন্তু একটা নিয়ম বদলানো দরকার। যদি ব্যাটার কোনও শট না খেলে এবং রিভিউতে দেখা যায় যে বল উইকেটে লাগছে, তা হলে আউট হওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে উইকেটের মাঝে লাগল না ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল তা দেখা উচিত নয়।”
ওকসের যে বলে করুণ আউট হতে হতে বাঁচেন, সেই বলটা খেলতে যাননি ভারতীয় ব্যাটার। বল ছাড়তে চান তিনি। বল গিয়ে লাগে প্যাডে। আম্পায়ার সৈকত আউট দেননি। রিভিউতে দেখা যায়, বল উইকেটের একেবারে উপরের দিকে লেগেছে। আম্পায়ার্স কল হয়। তাই বেঁচে যান করুণ। সেই কারণেই এই ক্ষেত্রে নিয়ম বদলের পরামর্শ দিয়েছেন ওকস।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়েও মুখ খুলেছেন ইংরেজ পেসার। ওকস বলেন, “সত্যিই প্রচণ্ড হতাশ লেগেছে। দলের জন্য ভাল খেলতে চাইলে আবেগের বহিঃপ্রকাশ হবেই। ওই সিদ্ধান্তগুলো আমাদের পক্ষে গেলে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য রকম হত। অনায়াসে ৩০ রানের মধ্যে ভারতের ৩টে উইকেট ফেলে দিতে পারতাম। তবে এটাই ক্রিকেট খেলা। সব ভুলে এগিয়ে যেতে হবে।” ইংরেজ বোলার মনে করেন, পিচে এখনও যথেষ্ট প্রাণ রয়েছে। ভারতকে দ্রুত অলআউট করে দিতেও পারেন। তাঁর কথায়, “এখনও পিচ যথেষ্ট ভাল। আপনাকে শুধু ঠিক জায়গায় বলটা রাখতে হবে।”