শতরানের পর উচ্ছ্বাস স্মিথের। ছবি: রয়টার্স।
মাত্র ৮৮ রানে ইংল্যান্ডের পাঁচ উইকেট ফেলে দিলেও এজবাস্টন টেস্টে চাপে পড়েছে ভারত। হ্যারি ব্রুক এবং জেমি স্মিথের জোড়া শতরানে চাপে তারা। ইংল্যান্ডকে পাল্টা লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন দুই ব্যাটার। স্মিথ শতরান করে ভেঙে দিয়েছেন কপিল দেবের একটি নজির।
ভারত বনাম ইংল্যান্ড সিরিজ়ে দ্রুততম শতরানের নজির এত দিন ছিল কপিল দেবের। সেই নজির ভেঙে দিয়েছেন স্মিথ। ১৯৮২-তে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে ৮৬ বলে শতরান করেছিলেন কপিল। শুক্রবার স্মিথ শতরান করেছেন ৮০ বলে। ইংরেজ ব্যাটার হিসাবে ভারতের বিরুদ্ধে দ্রুততম শতরানের নজির ছিল বেন ডাকেটের। ২০২৪-এ রাজকোট টেস্টে ৮৮ বলে শতরান করেছিলেন তিনি। তার আগে ১৯৯০-এ গ্রাহাম গুচ ৯৫ বলে শতরান করেছিলেন।
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে দ্রুততম শতরানের নজির রয়েছে ডেভিড ওয়ার্নারের। ২০১২-য় পার্থ টেস্টে ডেভিড ওয়ার্নার ৬৯ বলে শতরান করেছিলেন। এর পর ২০১০-এ সেঞ্চুরিয়নে এবি ডিভিলিয়ার্স ৭৫ বলে শতরান করেন। ২০০৬-এ লাহৌরে শাহিদ আফ্রিদি ৭৮ বলে শতরান করেন।
টেস্টে দ্রুততম শতরানের নজির রয়েছে নিউ জ়িল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকালামের, ঘটনাচক্রে যিনি এখন ইংল্যান্ডের কোচ। ২০১৬-য় ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫৪ বলে শতরান করেছিলেন। ১৯৮৬-তে সেন্ট জন্সে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫৬ বলে শতরান করেছিলেন ভিভ রিচার্ডস।
ক্রিজ়ে আসার পর থেকেই চালিয়ে খেলেছেন স্মিথ। উল্টো দিকে থাকা ব্রুককে বিশেষ ভাবতেই হয়নি। ৪৭তম ওভারে রবীন্দ্র জাডেজাকে চার মেরে শতরান পূরণ করেন স্মিথ। তার আগে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের একটি ওভার থেকে ২৩ রান নিয়েছিলেন তিনি। সবচেয়ে বেশি নির্দয় ছিলেন তাঁর প্রতিই। এ ছাড়া, বেছে বেছে ভারতের স্পিনারদের আক্রমণ করছিলেন স্মিথ।