WPL 2024

৫ কারণ: কোহলিরা না পারলেও কী ভাবে ট্রফি জিতলেন মন্ধানারা?

দীর্ঘ ১৬ বছর কেটে গেলেও আইপিএল জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কিন্তু ডব্লিউপিএলে দ্বিতীয় মরসুমেই ট্রফি ঘরে তুলেছে তারা। স্মৃতি মন্ধানার নেতৃত্বাধীন দলের সাফল্যে পাঁচটি কারণ কী কী?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪ ১১:১৭
Share:

ট্রফি নিয়ে আরসিবি-র মহিলা দল। ছবি: পিটিআই।

দীর্ঘ ১৬ বছর কেটে গেলেও আইপিএল জিততে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। কিন্তু ডব্লিউপিএলে দ্বিতীয় মরসুমেই ট্রফি ঘরে তুলেছে তারা। স্মৃতি মন্ধানার নেতৃত্বাধীন দল চমকে দিয়েছে ক্রিকেট সমর্থকদের। বেঙ্গালুরুর মানুষ অবশেষে ট্রফি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। এই ট্রফি জয় দীর্ঘ পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের ফল। তারই পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হল:

Advertisement

মন্ধানাকে স্পষ্ট বার্তা

গত বারের ডব্লিউপিএলে প্রথম পাঁচটি ম্যাচে হেরে শুরুতেই ট্রফি জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় আরসিবির। মরসুম শেষে দলের দুই মাথা চেয়ারম্যান প্রথমেশ মিশ্র এবং ভাইস-চেয়ারম্যান রাজেশ মেনন বৈঠক করেন অধিনায়ক মন্ধানার সঙ্গে। তাঁকে বলে দেওয়া হয়, এটা তোমার দল। তুমিই এটাকে নিজের মতো গড়ে নাও। মন্ধানা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন বলেই সাফল্য।

Advertisement

দলে লুক উইলিয়ামসকে নিয়ে আসা

ইংল্যান্ডের ‘দ্য হানড্রেড’ বা অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ লিগে সাফল্য পেয়েছেন লুক। মন্ধানা ‘দ্য হানড্রেড’ খেলার সময় লুকের সাহায্য পেয়েছেন। দলীয় সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং সাফল্য পেতে বেন সয়ারকে বদলে কোচ হিসাবে লুককে নিয়ে আসেন। মন্ধানার পাশে ছিল দল। নিজের বুদ্ধি এবং পরিকল্পনা কাজে লাগিয়ে প্রথম বছরেই ট্রফি দিয়েছেন লুক।

গোপন বৈঠক

লুককে এনেই কাজ শেষ হয়নি। তাঁর সঙ্গে নিয়মিত ‘গোপন বৈঠক’ হত মন্ধানার। নিলামের আগে দু’জনে পরিকল্পনামাফিক ক্রিকেটার নিয়েছিলেন। সাহায্য করেছিল ‘দ্য হানড্রেড’-এর অভিজ্ঞতাও। তৈরি হয়ে গিয়েছিল খসড়া তালিকা। মন্ধানারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সময় গোটা বিষয়টা অস্ট্রেলিয়া থেকে সামলেছিলেন লুক। সঙ্গে ছিল ‘গোপন বৈঠক’ও।

বিবিএল ছেড়ে দেশের ক্রিকেটে নজর

ডব্লিউপিএলের বেশ কিছু বছর আগে থেকে অস্ট্রেলিয়ায় মেয়েদের বিগ ব্যাশ লিগ শুরু হয়েছিল। ফলে প্রথম ডব্লিউপিএলে দাপট ছিল বিবিএলে খেলা ক্রিকেটারদের। কিন্তু গত নিলামে আরসিবি জোর দিয়েছিল ঘরোয়া ক্রিকেটারদের উপরে। পাশাপাশি দলে অনামী যাঁরা ছিলেন তাঁদের নিয়েও কাজ করা হয়। আশা শোভনা, সাব্বিনেনি মেঘনা, শ্রেয়ঙ্কা পাটিলকে খুঁজে বার করা তারই ফসল।

আরসিবি-র নেতৃত্ব

দলের কর্তারা মহিলা দলকে নিয়ে হাল ছাড়েননি। হারলেও পাশে থেকেছেন। কথা শুনেছেন। আস্থা রেখেছেন। কোনও রকম চাপ দেননি। দলের প্রত্যেকে যাতে ইতিবাচক এবং চাঙ্গা থাকেন, সেই খেয়াল রেখেছেন। তাতেই এসেছে সাফল্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement