Virat Kohli

ছ’টা বিশ্বকাপ খেলার পরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সচিন, আমি প্রথম বারেই জিতে গিয়েছিলাম: বিরাট

দীর্ঘ দিনের ক্রিকেট কেরিয়ারে সচিন বহু সাফল্য পেলেও বিশ্বকাপ অধরা থেকে গিয়েছিল তাঁর কাছে। ২০১১ সালে এসে সেই ট্রফি ছুঁতে পেরেছিলেন সচিন। সেই দলে ছিলেন বিরাটও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৮
Share:

মুম্বইয়ে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয় ভারত। —ফাইল চিত্র

২০১১ সাল ছিল সচিন তেন্ডুলকরের শেষ বিশ্বকাপ। সে বারই প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। স্বপ্নপূরণ হয় দু’জনেরই । বিরাট আগেও জানিয়েছিলেন যে, সচিন তাঁর আদর্শ। এক সঙ্গে বিশ্বকাপ জয় তাঁর কাছে বিরাট ঘটনা ছিল। সেই কথা উল্লেখ করে বিরাট বলেন, “দেশের বোঝা ২১ বছর ধরে সচিনের কাঁধে ছিল, আমাদের দায়িত্ব ছিল সে বার ওকে কাঁধে তুলে নেওয়া।”

Advertisement

মুম্বইয়ে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয় ভারত। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দলের সেই জয়ের পর সচিনকে কাঁধে নিয়ে ঘুরে ছিল ভারতীয় দল। দীর্ঘ দিনের ক্রিকেট কেরিয়ারে সচিন বহু সাফল্য পেলেও বিশ্বকাপ অধরা থেকে গিয়েছিল তাঁর কাছে। ২০১১ সালে এসে সেই ট্রফি ছুঁতে পেরেছিলেন সচিন। বিরাট বলেন, “আমি ভাগ্যবান যে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছিলাম। বিশ্বকাপের আগে আমি রান পাচ্ছিলাম। সেটাই আমাকে সুযোগ করে দেয় দলে। তবে ভাবিনি সুযোগ পাব। সচিন সে বার ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলছিল। চ্যাম্পিয়ন হয়। আমার প্রথম বিশ্বকাপ ছিল। আমিও জয়ী দলের অংশ হয়ে যাই।”

মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জেতে ভারত। সেই দলেরও অংশ ছিলেন বিরাট। কিন্তু তার পর থেকে আর কোনও আইসিসি ট্রফি জিততে পারেননি তিনি। বিরাট বলেন, “ট্রফি পাওয়ার জন্য আমি পাগল নই। ওটা আমার কাছে প্রধান লক্ষ্য নয়।” অধিনায়ক হিসাবে ট্রফি নেই বলে একাধিক বার কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাঁকে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “যে কোনও প্রতিযোগিতা জেতার জন্যই আমরা খেলতে নামি। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, ২০১৯ সালে বিশ্বকাপ, ২০২১ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমি নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। সেই সব প্রতিযোগিতায় আমরা কখনও সেমিফাইনাল, কখনও ফাইনালে হেরেছি। আমাকে ব্যর্থ অধিনায়ক বলা হয়েছে। আমি নিজে যদিও সেই ভাবে দেখি না। আমরা ট্রফি না পেলেও দল হিসাবে যা পেয়েছি সেটা বিরাট। দলে যে অভ্যেসটা তৈরি করেছিলাম সেটা আমার কাছে গর্বের। প্রতিযোগিতা একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হয়। সেই প্রতিযোগিতা জেতার থেকেও বড় হচ্ছে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।”

Advertisement

২০২২ সালের শুরুতে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন বিরাট। নিজেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন ২০২১ সালের বিশ্বকাপের পর। এর পরেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর থেকে। পরে নিজেই টেস্ট দলের নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন