মিঠুন মানহাস। ছবি: এক্স।
জল্পনা মতোই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন সভাপতি হলেন মিঠুন মনহাস। রবিবার বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন ক্রিকেটারের নাম নতুন সভাপতি হিসাবে গৃহীত হয়েছে। যদিও অধিকাংশ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ মানহাস খেলেছেন দিল্লির হয়ে।
গত রবিবার মুম্বইয়ে বোর্ডের সদর দফতরে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেন মনহাস। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থী হননি। স্বাভাবিক ভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি হলেন মনহাস। বোর্ডের ৩৭তম সভাপতি হলেন তিনি।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রজার বিন্নীর পর মনহাসের ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মসনদে বসাটা কিছুটা অবাক করার মতো। সৌরভ-বিন্নীর গোটা ক্রিকেটবিশ্বে যে পরিচিতি রয়েছে, মনহাসের তা নেই। দেশের হয়ে কখনও খেলার সুযোগ পাননি। শুধু ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, পুণে ওয়ারিয়র্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল খেলার ফলে যেটুকু পরিচিতি তাঁর।
৪৫ বছরের মনহাসের অবশ্য ক্রিকেট প্রশাসক হিসাবে কিছু অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (জেকেসিএ) প্রশাসনিক পদে ছিলেন এবং বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভাতে একাধিক বার রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ১৯৯৭-৯৮ মরসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় মনহাসের। ১৭ বছর ধরে তিনি দিল্লির মিডল অর্ডারে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার ছিলেন। অধিনায়ক হিসাবে দিল্লিকে ২০০৭-০৮ মরসুমে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। সেই বছর ৫৭.৫৬ গড়ে ৯২১ রান করেছিলেন। বিরাট কোহলিও তাঁর নেতৃত্বে রঞ্জি খেলেছেন। ১৫৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৭টি শতরান, ৪৯টি অর্ধশতরান-সহ ৪৫.৮২ গড়ে ৯,৭১৪ রান করেছেন। পাশাপাশি ৪০টি উইকেটও রয়েছে।
২০১৭ সালে মনহাস পঞ্জাব কিংসের সহকারী কোচ হন। এর পর বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ব্যাটিং পরামর্শদাতা হন। দু’বছর সেই পদে থাকার পর তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সহকারী কোচ হন। শেষে তিনি গুজরাত টাইটান্সের সহকারী কোচের পদে ছিলেন।