প্রয়াত ওয়াজ়ির মহম্মদ। ছবি: সমাজমাধ্যম।
হানিফ মহম্মদ চলে গিয়েছিলেন ২০১৬-য়। সোমবার চলে গেলেন ওয়াজ়ির মহম্মদও। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। পাকিস্তান ক্রিকেটের বিখ্যাত ‘মহম্মদ ব্রাদার্স’-এর আরও এক সদস্য চলে গেলেন না-ফেরার দেশে। বেঁচে আছেন শুধু সাদিক মহম্মদ এবং মুস্তাক মহম্মদ। সবচেয়ে বড় ভাই রইস মহম্মদ কখনও পাকিস্তানের হয়ে টেস্ট খেলেননি। বাকি চার জনই খেলেছেন। সোমবার ওয়াজ়িরের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড।
পাকিস্তানের ক্রিকেটের একদম শুরুর দিকে খেলেছেন ওয়াজ়ির। দেশের হয়ে ২০টি টেস্ট খেলেছেন। দু’টি শতরান-সহ ৮০১ রান রয়েছে। লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসাবে তাঁর ২৭.৬২ গড় হয়তো খুব ভাল নয়। তবে ক্রিকেটবিশ্বে পাকিস্তানকে প্রতিষ্ঠিত করতে ওয়াজ়িরের অবদান ছিল অনেক।
ওয়াজ়িরের অনেক স্মরণীয় ইনিংসের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে ভালটি খেলেছেন ১৯৫৪-র ওভাল টেস্টে। বিশ্বের প্রথম দল হিসাবে প্রথম ইংল্যান্ড সফরেই টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজ় ১-১ ড্র হয়েছিল। ১২টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন ফজ়ল মাহমুদ। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়াজ়ির লড়াই না করলে পাকিস্তান জয়ের জায়গায় থাকত না।
মাত্র ৮৫ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। হাতে ছিল দু’টি উইকেট। আট নম্বরে নেমে ৫৮ রানের জুটি গড়েন জ়ুলফিকার আহমেদের সঙ্গে। শেষ উইকেটে ২৪ রান যোগ করেন মাহমুদ হুসেনের সঙ্গে। চার ঘণ্টা লড়াই করে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়াজ়ির। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান জেতে ২৪ রানে।
দু’বছর বাদে করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একটি টেস্টে দলের রান যখন ৭০ রানে ৫ উইকেট, তখন অধিনায়ক আব্দুল হাফিজ় কারদারের সঙ্গে ১০৪ রানের জুটি গড়েন ওয়াজ়ির। পাকিস্তান সেই ম্যাচে ৯ উইকেটে জেতে। ওয়াজ়ির করেছিলেন ৬৭।
১৯৫৭-৫৮ মরসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সফরেও ভাল খেলেছিলেন। সেই সিরিজ় বিখ্যাত গ্যারি সোবার্সের ৩৬৫ রানের কারণে। হানিফও ৩৩৭ রান করেছিলেন একটি ম্যাচে, যেখানে দাদা ওয়াজ়িরের সঙ্গে শতরানের জুটি ছিল। সেই সিরিজ়ে দু’টি শতরান-সহ ৪৪০ রান ছিল ওয়াজ়িরের। তার মধ্যে একটি ১৯৬৭ পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম শতরান ছিল। পোর্ট অফ স্পেনে ১৮৯ করে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন।